• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০১৯, ০৩:১৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৭, ২০১৯, ০৩:১৯ পিএম

শেবাচিমের হোস্টেলে পুলিশি অভিযান : ইয়াবা, হাতুড়ি, রডসহ আটক ১

শেবাচিমের হোস্টেলে পুলিশি অভিযান : ইয়াবা, হাতুড়ি, রডসহ আটক ১

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের ইন্টার্ন ডক্টর্স হোস্টেল অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এসময় সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, হাতুরি, লোহার রড ও ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামাদিসহ এক বহিরাগতকে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃত মো. রিশাতুল ইসলাম রন্টি (২৪) ডক্টর্স হোস্টেল সংলগ্ন নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডস্থ ব্যাপ্টিস্ট মিশন রোডের বাসিন্দা আব্দুস ছালাম খানের ছেলে। এসময় রন্টির দেয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নাসির উদ্দিন শ্রাবণ নামের এক ইন্টার্ন চিকিৎসককে আটক করলেও রহস্যজনক কারণে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শেবাচিম হাসপাতাল পরিচালকের উপস্থিতিতে এএফএম নুরুর রফি ডক্টর্স হোস্টেলে কোতয়ালী মডেল থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. রাসেল আহমেদ এর নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

তথ্য নিশ্চিত করে কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. নুর ইসলাম জানান, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি টিম ইন্টার্ন ডক্টর্স হোস্টেলে অভিযান চালায়। এসময় সেখানকার তৃতীয় তলায় ৩০৩ নম্বর রুম থেকে বহিরাগত রিশাতুল ইসলাম রন্টিকে আটক করা হয়।

ওসি বলেন, ‘রুমটিতে তল্লাশি করে ৫২০ ইয়াবা ট্যাবলেট, একটি হাতুড়ি, লোহার রড ও পাইপ, দুটি মদের বোতল ও ইয়াবা সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃত রন্টি একজন বড় মাদক ব্যবসায়ী। সম্প্রতি তার স্ত্রী রুবিনা আড়াই হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক হয়। তখন রন্টি কারাগারে ছিল।

তিনি বলেন, ‘যে রুম থেকে ওই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে সেই রুমটি কারোর নামে বরাদ্দ নেয়া নয়। ওই রুমটি কে ব্যবহার করে তাও জানা যায়নি। বহিরাগত রিফাত ডক্টর্স হোস্টেলের ওই রুমটিতে বসে ইয়াবা ব্যবসা করে আসছিল।

ওসি বলেন, আটককৃতর বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হবে। তাছাড়া রিফাত কিভাবে ওই হোস্টেলে থাকত, কে তাকে সহযোগিতা করতো সে বিষয়গুলো জানতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে নাসির উদ্দিন শ্রাবণ নামে কাউকে আটক করা হয়নি বলেও দাবি করেছেন তিনি।

এদিকে, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ‘রিফাত খান রন্টিকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় উদ্ধারকৃত ইয়াবা ইন্টার্ন ডাক্তার নাসির উদ্দিন শ্রাবণের বলে জানায়। তার দেয়া বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে হোস্টেলের চতুর্থ তলায় ৪০৪ নম্বর কক্ষ থেকে শ্রাবণকে আটক করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে হাসপাতাল পরিচালকের মধ্যস্থতায় পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।

শেবাচিম হাসপাতাল পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বলেন, ‘আমি নিজেই ইন্টার্ন ডক্টর্স হোস্টেল রুটিন ভিজিটে যাই। সেখানে ওই ছিলেটিকে দেখে সন্দেহ হলে থানা পুলিশকে খবর দেই। তারা এসে ইয়াবাসহ ওই যুবককে আটক করে।

তবে ইন্টার্ন চিকিৎসককে ছাড়িয়ে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যস্ততার কথা বলে এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘ওই কক্ষটি কারোর নামে বরাদ্দ নয়। তারপরেও যুবকটি কিভাবে রুম ব্যবহার করেছে সেটা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। কোন ইন্টার্ন বা অন্য কারোর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।

আরও পড়ুন