• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০১৯, ০৬:৩৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৮, ২০১৯, ০৬:৩৬ পিএম

গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক

গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে মোসা. সালেহা বেগম নামের এক গৃহবধূর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। তবে নিহতের পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী কামরুল হোসেন পলাতক।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের ছোলনা গ্রামে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। ওই গ্রামের হোসেন মোল্যার ছেলে কামরুল হোসেনের সঙ্গে আলফাডাঙ্গা উপজেলার মিঠাপুর গ্রামের সিদ্দিক খালাসীর মেয়ে সালেহা বেগমের প্রায় ২২ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর সালেহা জানতে পারেন স্বামী কামরুল হোসেন মাদক ও জুয়ায় আসক্ত। স্বামীকে বিভিন্নভাবে ফেরানোর চেষ্টা করলে তিনি সালেহাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। নির্যাতন সহ্য করেও সংসার ও ছেলেমেয়ের কথা চিন্তা করে দেড় বছর বিদেশে চাকরি করেন সালেহা। বছরখানেক আগে স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের খবর পেয়ে দেশে ফিরে আসেন তিনি।

দেশে ফিরে সালেহা জানতে পারেন তার স্বামী কামরুল হোসেন আলফাডাঙ্গা উপজেলার গরানিয়া গ্রামের হারুন শেখের মেয়ে শিরিনা বেগমকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। কামরুলের এই উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনের কারণে কিছুদিন আগে তার ভাইয়েরা প্রথম স্ত্রী সালেহার নামে পৈতৃক সম্পত্তির অংশ লিখে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী শিরিনা বেগম কামরুলকে বিভিন্ন সময় প্ররোচনা দিতে থাকে।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকালে কামরুলের ছোলনা গ্রামের বাড়িতে এসে প্রথম স্ত্রী সালেহাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মেরে ফেলার হুমকি দেয় দ্বিতীয় স্ত্রী শিরিনা। এ সময় বাড়িতে থাকা কামরুলের পরিবার শিরিনাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ ঘটনার দুই দিন পর পরিকল্পিতভাবে সালেহাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয় বলে সালেহার পরিবারের অভিযোগ।

সালেহার ভাই মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বোনের মৃত্যুর জন্য আমি কামরুলের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করব।’

বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুর রহমান বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এনআই

আরও পড়ুন