• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০১৯, ০৪:৪৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২০, ২০১৯, ০৪:৪৬ পিএম

ভোলায় গুলিবিদ্ধ ১২ জন শেবাচিমে ভর্তি

ভোলায় গুলিবিদ্ধ ১২ জন শেবাচিমে ভর্তি
বোরহানউদ্দিনে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের শেবাচিমে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে  -  ছবি : জাগরণ

ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশ ও জনতার সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ১২ জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

দুপুর ১টার পর থেকে বিকেল পৌনে ৪টার মধ্যে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ১১ জনকে সার্জারি এবং ১ জনকে নাক-কান-গলা বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। তারা সবাই ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বাসিন্দা।

গুলিবিদ্ধরা হলেন নান্টু মিস্ত্রি (৪০), মাকসুদুর রহমান (১৮), তানভির (৩০), অলিউল্লাহ (২৪), সিদ্দিকুর রহমান (২৮), মিজানুর রহমান (৩০), আবু তাহের (৩০), শামীম (১৮), সোহরাব সরদার (২৪), আল আমিন (১৮), জামাল (২৫) ও সিদ্দিকুর রহমান (২৩)।

জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার (ইএমও) ডা. মুহাম্মদ রাসেল জানান, ভোলা থেকে এখন পর্যন্ত যে ১২ জন শেবাচিমে ভর্তি হয়েছেন, তারা সবাই গুলিবিদ্ধ। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি বলেন, কী ধরনের গুলি লেগেছে, সেটা বলা সম্ভব নয়। তবে যারা ভর্তি হয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই দাবি করেছে তাদের শরীরে শর্টগানের গুলি লেগেছে। এটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে বলা সম্ভব নয়।

আহতরা জানিয়েছেন, বিপ্লব নামের এক যুবক ফেসবুকে মহানবী (সা.) ও বিবি ফাতেমাকে নিয়ে ‘অবমাননাকর মন্তব্য’ পোস্ট করে। এর প্রতিবাদে শনিবার (১৯ অক্টোবর) বোরহানউদ্দিনে বিক্ষোভ মিছিল করেন স্থানীয় মুসল্লিরা। এর পরপরই সন্ধ্যার দিকে বিপ্লব নামের ওই যুবককে আটক করে পুলিশ।

এদিকে বিপ্লবের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রোববার (২০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেন স্থানীয় মুসল্লিরা। শুরুতেই পুলিশ সমাবেশ সংক্ষিপ্ত করার জন্য বলে। এ নিয়ে পুলিশের সাথে মুসল্লিদের কথা-কাটাকাটি হয়। সেই মুহূর্তে কোনো এক ব্যক্তি পেছন থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করে। এ জন্য পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে অতর্কিত গুলি ছুড়তে শুরু করে। এতে ঘটনাস্থলে ৩ জন নিহত এবং পুলিশ, সাংবাদিকসহ অসংখ্য মানুষ গুলিবিদ্ধ ও আহত হন।

এনআই

আরও পড়ুন