পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনা পারভীন সীমা তার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আওয়ামী লীগ দলীয় প্রয়াত সাংসদ আনোয়ার-উল-ইসলামের মেয়ে সীমা রোববার (২০ অক্টোবর) বেলা ১১টায় নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, সন্ত্রাসীদের দিয়ে তাকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় তিনি বর্তমান এমপি অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমানকে দায়ী করেন। লিখিত বক্তব্যে সীমা দাবি করেন, ১৭ অক্টোবর মোজাহারউদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজে এমপির সংবর্ধনা সভায় তাকে এবং ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল আলম বাবুল খানকে নির্ধারিত আসন ছেড়ে দিতে বাধ্য করা হয়। এর প্রতিবাদ করলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হয়। সীমার অভিযোগ, এমপির লালিত সন্ত্রাসী আশিক তালুকদার তাদের মোবাইলে গালাগাল করেন। এ ছাড়া ধানখালীতে এক সভায় সীমার পেছন থেকে চেয়ার টেনে সরিয়ে দেয়া হয়। প্রকাশ্যে মাইকে স্থান ত্যাগ করার হুমকি দেয়া হয়।
এসব ঘটনায় শাহিনা পারভীন সীমা কলাপাড়া থানায় তার এবং পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করেছেন। তিনি বর্তমানে তার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠনকে অগঠনতান্ত্রিক বলেও দাবি করেন এবং এমপি তার নিকটাত্মীয়দের কমিটিতে প্রবেশ করাচ্ছেন এমন অভিযোগ তুলেছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান সীমা তার নিরাপত্তাসহ এর প্রতিকার চাইতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে এমপি অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। আর এ ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। আমাকে অযথা জড়ানো হয়েছে।’ তবে তিনি বলেন, আশিককে ফোন দিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান উল্টো ধমক দিয়েছে বলে তাকে জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সীমার ভাই এমপি মনোনয়নপ্রত্যাশী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম লিটনসহ মহিলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা বাসার সামনে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এনআই