• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০১৯, ০৫:১৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২১, ২০১৯, ০৫:১৬ পিএম

বাস চলাচল বন্ধ

ভোলায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধের মধ্যেও থেমে থেমে বিক্ষোভ মিছিল  

ভোলায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধের মধ্যেও থেমে থেমে বিক্ষোভ মিছিল  

ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধের মধ্যেও সংবাদ সম্মেলন, অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে মুসলিম ঐক্য পরিষদসহ সর্বস্তরের জনগণ। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার ও ওসির অপসারণসহ ৬ দফা দাবি এবং ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। তা না মানলে কঠোর কর্মসূচির ডাক দিয়েছে মুসলিম ঐক্য পরিষদের নেতারা। এর পর থেকেই থেমে থেমে মিছিল হচ্ছে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছে সতর্ক অবস্থায়। 

আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ভোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদ নামের একটি সংগঠন। সংগঠনের নেতা মাওলানা মিজানুর রহমান লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এসময় তিনি ভোলার পুলিশ সুপার ও বোরহানউদ্দিন থানার ওসির অপসারণসহ ৬ দফা দাবি জানান। ৭২ ঘণ্টার দাবি না মানা হলে কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দেন। এছাড়া সংগঠনের আহবায়ক মাওলানা মো. বশির আহমেদ ৩ দিনের কর্মসূচি তুলে ধরেন। ৬ দফা দাবি মানা না হলে হরতাল দেয়ার কথাও বলেন সংগঠনের অপর এক সদস্য মাওলানা আতাউর রহমান। 

এদিকে বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম পৃথক দুটি মামলার ঘটনা উল্লেখ করে দুপুর ১টায় বলেন, এসব ঘটনায় একাধিক তদন্ত দর কাজ করছে। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া পুলিশ সুপার ও ওসির অপসারণসহ ৬ দফা দাবির বিষয়ে বলেন, এজন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ আছে তারা দেখবেন এবং ব্যবস্থা নেবেন।

সকাল থেকেই র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা পুরো শহরে অবস্থান নিয়ে আছেন। টহল দিচ্ছেন সর্বত্র। এ ছাড়াও পূর্বঘোষিত সমাবেশস্থল ঘিরে রেখেছে বিজিবিসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এর মাঝেও উত্তেজিত জনতা বিশাল মিছিল নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করেছে। 

পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে ভোলায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে জেলা প্রশাসন। সোমবার সকাল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।

ভোলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। মোতায়েন রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশ, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও আর্মড পুলিশ। কাউকে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি। কেউ সভা-সমাবেশ করতে চাইলে অনুমতি নিতে হবে।  

এদিকে ভোলার বোরহানউদ্দিনে রোববার (২০ অক্টোবর) পুলিশের সঙ্গে মুসল্লিদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতদের রাতেই জানাযা শেষে দাফন করা হয়েছে। এদিন পুলিশের গুলিতে নিহত ৪ জনের মধ্যে হাফেজ মো. মাহফুজুর রহমান পাটোয়ারীর নামাযে জানাজা রাত সাড়ে ৯টায় বোরহানউদ্দিন উত্তরমাথা বাসস্ট্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে অন্যদেরও যার যার গ্রামে জানাযা শেষে দাফন করা হয়েছে। 
এছাড়া আহত রোগীদের অনেকে গ্রেফতার আতঙ্কে রাতেই হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছেন।

ভোলা বাস মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, নিরাপত্তার কারণে ভোলা জেলার সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
  
ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মো. এনায়েত হোসেন বলেন, কোন ধরনের সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।

এডিশনাল ডিআইজি (র‌্যাব) আতিকা ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে র‌্যাবের ১২টি টিম ভোলা সদর ও বোরহানউদ্দিনে কাজ করছে।