• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০১৯, ০৩:০৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২২, ২০১৯, ০৩:৫৭ পিএম

বসল পদ্মা সেতুর ১৫তম স্প্যান, দৃশ্যমান সোয়া ২ কিমি 

বসল পদ্মা সেতুর ১৫তম স্প্যান, দৃশ্যমান সোয়া ২ কিমি 
পদ্মা সেতুর ১৫তম স্প্যান বসল খুঁটির ওপর -ছবি : জাগরণ  

মুন্সীগঞ্জের শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ২৩ ও ২৪ নম্বর খুঁটির ওপর পদ্মা সেতুর ১৫তম স্প্যান ‘৪-ই’ বসানো হয়েছে। এ নিয়ে সেতুর মূল অবকাঠামো ২ হাজার ২৫০ মিটার (২.২৫ কিলোমিটার) দৃশ্যমান হল। এক সপ্তাহ আগে এ স্প্যানটি বসানোর তারিখ নির্ধারণ থাকলেও নাব্য সঙ্কটের কারণে তা বিলম্বিত হয়। 

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে জাজিরা প্রান্তে এই স্প্যান স্থাপন করা হয়।

পদ্মাসেতুর প্রকৌশল সূত্রে জানা যায়, দুই খুঁটির মধ্যবর্তী সুবিধাজনক স্থানে ভাসমান ক্রেনটিকে নোঙর করা হয়। এরপর পজিশনিং করে ইঞ্চি ইঞ্চি মেপে স্প্যানটিকে তোলা হয় খুঁটির উচ্চতায়। রাখা হয় দুই খুঁটির বেয়ারিং এর উপর। স্প্যান বসানোর জন্য উপযোগী সময় এবং সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় প্রকৌশলীরা স্প্যানটি বসাতে সক্ষম হন।

সূত্রে আরও জানা যায়, বর্ষা মৌসুম ও নাব্যতা সংকটের কারণে ৩ মাসের বেশি সময় ধরে পদ্মা সেতুতে কোনো স্প্যান বসানো সম্ভব হয়নি। ড্রেজিং করেও অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা যাচ্ছিল না। কয়েকদিন আগে স্প্যান বসানোর কার্যক্রম শুরু হলেও নাব্যতা সংকট বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ড্রেজিং করে পলি অপসারণ করেও অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব হচ্ছিল না। অবশেষে নানা বাধা বিপত্তি পেরিয়ে স্প্যানটি বসানো সম্ভব হয়। ১৪তম স্প্যান বসানোর তিন মাস ২৩ দিনের মাথায় স্থায়ীভাবে বসলো ১৫তম স্প্যান।

এর আগে সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে জাজিরা প্রান্তের চর এলাকা থেকে ‘৪-ই’ স্প্যানকে ভাসমান ক্রেনের মাধ্যমে ২৮ ও ২৯ নম্বর খুঁটির সামনে নোঙর করে রাখা হয়।

পদ্মা সেতুর প্রকৌশল সূত্রে জানা যায়, ড্রেজিং করেও স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। পলি অপসারণ করার ১ থেকে ২ ঘণ্টা পরেই আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসছে নদীর তলদেশ। ধূসর রংঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ক্রেন বহন করে আনতে নাব্য সংকট বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

প্রকৌশলীরা জানায়, ইতোমধ্যে পদ্মাসেতুর আরও ৩টি স্প্যান প্রস্তুত হয়ে আছে। নাব্য সংকটের কারণে স্প্যানগুলো বসাতে দেরি হচ্ছে। সেতুর ১৯, ২০, ২১, ২২, ২৩ নম্বর খুঁটির ওপর চারটি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা আছে চলতি বছরের মধ্যে। সর্বশেষ ২৯ জুন মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ১৫ ও ১৬ নম্বর পিলারের ওপর বসে ৩ সি নম্বরের চতুর্দশ স্প্যানটি বসানো হয়। 

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।

একেএস
 

আরও পড়ুন