• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০১৯, ০৮:৪৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২২, ২০১৯, ০৮:৪৮ পিএম

চাঁদপুরে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন

চাঁদপুরে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন

চাঁদপুর শহরের রহমতপুর আবাসিক এলাকায় স্ত্রী সালমা বেগমকে (৩৮) শ্বাসরোধ করে হত্যার অপরাধে স্বামী গফুর মিজিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুর দেড়টায় চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খান এই রায় দেন।

হত্যার শিকার সালমা চাঁদপুর শহরের উত্তর শ্রীরামদী মাদ্রাসা রোডের মৃত খালেক বেপারীর মেয়ে এবং গফুর মিজি ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ভাটিয়ালপুর এলাকার চির্কা চাঁদপুর গ্রামের মৃত রহমান মিজির ছেলে। তিনি পেশায় একজন শ্রমিক।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২০ অক্টোবর দিনগত রাত ১০টার দিকে সালমার ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম (১৯) বোনের বাসায় আসেন। রাতের খাবার শেষে সাইফুল পাশের কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক ১২টা ৩৫ মিনিটে ঘরে আসেন গফুর মিজি। তখন স্ত্রী তাকে বলেন, ‘আপনি রাতে দেরি করেন আসেন কেন? এত রাতে বাইরে কী করেন।’ এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।

পরদিন ২১ অক্টোবর ভোর ৬টায় সালমার ছোট ভাই সাইফুল ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার বোনের মরদেহ মেঝেতে পড়ে আছে এবং গলায় ফাঁসের চিহ্ন রয়েছে। তাৎক্ষণিক তিনি চাঁদপুর মডেল থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ২১ অক্টোবর চাঁদপুর মডেল থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়। ২০১৬ সালের ৩০ জুন ময়নাতদন্ত পাওয়ার পর পুলিশ নিশ্চিত হয় সালমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। সেই আলোকে সালমার মা রহিমা বেগম (৫৫) ১ জুলাই গফুর মিজিকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ আসামি গফুর মিজিকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন সময়ে চাঁদপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হালিম সরকার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

সরকারপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আমান উল্যাহ বলেন, মামলাটি চলমান অবস্থায় আদালত ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। সাক্ষ্য-প্রমাণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে আসামির উপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।

সরকারপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ছিলেন মোক্তার আহম্মেদ এবং আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. সাইফুল ইসলাম শেখ।

এনআই

আরও পড়ুন