• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০১৯, ০৬:২৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২৩, ২০১৯, ০৬:২৮ পিএম

বিয়ের আগেই মা হলো নবম শ্রেণির ছাত্রী

বিয়ের আগেই মা হলো নবম শ্রেণির ছাত্রী

বরগুনার পাথরঘাটায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মাসের পর মাস স্কুলছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে একই এলাকার কলেজপড়ুয়া রাজু আহমেদ। একপর্যায়ে স্কুলছাত্রীটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

এরই মধ্যে দুজনের সম্পর্কে ভাঙন সৃষ্টি হয়। অভিযুক্ত ধর্ষক রাজু আহমেদ চলে যায় নিজ ক্যাম্পাস বরিশাল অমৃত লাল দে কলেজে।

কয়েক মাস পার হওয়ার পর ওই স্কুলছাত্রীর শারীরিক পরিবর্তন হলে পরিবারের চাপে একপর্যায়ে তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর বড় বোনের কাছে স্বীকার করেন। ধর্ষণের শিকার অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রী গত রোববার (২০ অক্টোবর) রাত আটটার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি পুত্রসন্তান জন্ম দেয়। বর্তমানে মা ও সন্তান সুস্থ রয়েছে।

রাজু আহমেদ উপজেলার কাঁঠালতলী ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল জলিলের ছেলে।

এর আগে পাথরঘাটা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা পারভীনকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি ভুক্তভোগী ছাত্রীকে নিয়ে পাথরঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পাথরঘাটা থানার পুলিশ অভিযুক্ত রাজুর বাবা আব্দুল জলিলকে আটক করে কারাগারে পাঠালেও রাজুকে আটক করতে পারেনি।

ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর সন্তান প্রসবের খবর পেয়ে পাথরঘাটা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, এডিশনাল এসপি বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের ও পাথরঘাটা থানার ওসি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন নবজাতকের জন্য নতুন পোশাক নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে মা ও সন্তানের খোঁজখবর নেন। বরগুনার এসপি মারুফ হোসেন নগদ ৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। এ সময় তারা শিশুটির নাম রাখেন ‘জয়’।

ওই ছাত্রী জানায়, স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে রাজু তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিত। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে রাজু। তার এই সন্তানের বাবা রাজু আহমেদ।

স্কুলছাত্রীর বড় বোন জানান, তার বোনের শারীরিক পরিবর্তন দেখে সন্দেহ হলে জানতে পারেন সে ৬ মাসের  অন্তঃসত্ত্বা। তখন তার কাছ থেকে জানতে পারেন একই গ্রামের রাজুর সঙ্গে ওর শারীরিক সম্পর্কের কথা। এরপর রাজুকে ফোন দিলে সে শারীরিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করে বলে, ‘ভুল হয়ে গেছে আপা, বাচ্চা নষ্ট করে দেন। সব খরচ আমি দেব।’

এ বিষয়ে কাঁঠালতলী ইউপির চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম জানান, উভয় পক্ষের সমঝোতা বৈঠকে ছেলের বাবা আব্দুল জলিল দেড় লাখ টাকা মেয়েকে দেয়ার প্রস্তাব দিলে মেয়ের পক্ষ তা মানতে রাজি হয়নি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বি এম আশরাফ উল্লাহ তাহের বলেন, নিষ্পাপ শিশুটি যাতে তার পিতৃপরিচয় পায় সে লক্ষ্যে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পাথরঘাটা পুলিশ তদন্ত করে যাচ্ছে। প্রয়োজনে ডিএনএ টেস্ট করে দেখা হবে।

এনআই

আরও পড়ুন