নরসিংদীর রায়পুরায় স্ত্রীকে জোরপূর্বক তুলে আনতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন শফিকুল ইসলাম (৩০) নামের এক টেলিকম ব্যবসায়ী। বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে রায়পুরা উপজেলার হাসনাবাদ গ্রামের মোল্লাবাড়ির মসজিদের পাশে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ মিনহাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত শফিকুল ইসলাম নরসিংদী শহরের একটি শপিংমলের টেলিকম ব্যবসায়ী ও শিবপুর উপজেলার বাঘাব ইউনিয়নের ইটনা দিঘিরপাড় এলাকার খোরশেদ আলমের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, গত ২ অক্টোবর নরসিংদীর একটি কলেজে ভর্তি করিয়ে দেয়ার সময় রহিমা আক্তার নামের এক শিক্ষার্থীর সাথে পরিচয় হয় টেলিকম ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের। এই পরিচয়ে কলেজে ভর্তি করার কথা বলে কাবিননামায় স্বাক্ষর করিয়ে রহিমাকে বিয়ে করেন টেলিকম ব্যবসায়ী নিহত শফিকুল ইসলাম। কিছুদিন যাওয়ার পর রহিমা আক্তারকে স্ত্রী হিসেবে দাবি করেন টেলিকম ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম। রহিমাকে স্ত্রী দাবি করে শফিকুলের বাড়িতে যাওয়ার অনুরোধ জানালে রহিমা তাতে অস্বীকার করেন।

এ ঘটনার পর থেকে রহিমা তার বাবার বাড়িতেই জীবনযাপন করে আসছেন। রহিমা আক্তারকে স্ত্রী দাবি করে বিষয়টি মীমাংসার জন্য আমিরগঞ্জ ইউপির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের কাছে একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন শফিকুল। অপরদিকে শফিকুল ইসলাম প্রতারণার মাধ্যমে স্বাক্ষর নিয়ে রহিমা আক্তারকে স্ত্রী দাবি করার অভিযোগ এনে রায়পুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন রহিমা আক্তার।

বুধবার দুপুরে শফিকুল ইসলামসহ একদল যুবক অস্ত্রশস্ত্রসহ হাসনাবাদ গ্রামে গিয়ে রহিমাকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় রহিমার পরিবার অস্বীকৃতি জানালে দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল দেখা দেয়। এই হট্টগোলের কিছুক্ষণ পরই ঘটনার অদূরে শফিকুল ইসলামের রক্তমাখা লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। তবে কে বা কারা শফিকুলকে হত্যা করেছে তার সঠিক জবাব দিতে পারেনি রহিমার পরিবার বা স্থানীয়রা।

আমিরগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিনহাজুল ইসলাম জানান, শফিকুল নিহতের ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কলেজছাত্রী রহিমা আক্তারকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে দুটি ককটেলও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রায়পুরা উপজেলার হাসনাবাদ গ্রামের সুরুজ মৃধার বাড়ির ভাড়াটিয়া শামীম মিয়ার মেয়ে রহিমা আক্তার।

এনআই