• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০১৯, ০৮:১৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২৪, ২০১৯, ০৮:১৮ এএম

সেতুর অভাবে ভোগান্তিতে ৩০ গ্রামের মানুষ

সেতুর অভাবে ভোগান্তিতে ৩০ গ্রামের মানুষ

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর রাজৈর খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে অন্তত তিনটি উপজেলার ৩০ গ্রামের মানুষ। ফলে এই খেয়াঘাট পার হতে প্রতিদিনই ভোগান্তি পোহাতে হয় নানা শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষকে। দীর্ঘদিন ধরে এই জনগুরুত্বপূর্ণ খেয়াঘাটে একটি সেতু নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।

জানা গেছে, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া-দৌলতপুর সড়কের গোপালপুর রাজৈর খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত সাটুরিয়া, দৌলতপুর ও টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার অন্তত ১০টি ইউনিয়নের ৩০টি গ্রামের মানুষের। ভোর থেকেই নৌকা দিয়ে পার হয় বাজারের ব্যবসায়ী, ক্রেতা-বিক্রেতা, বিভিন্ন অফিসের চাকরিজীবী ও স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। একবার নৌকা ফেল করলে পরবর্তী নৌকা পেতে অপেক্ষা করতে হয় অন্তত আধা ঘণ্টা। এতে বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীরা যথাসময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিসে উপস্থিত হতে পারেন না। আর বর্ষা মৌসুমে খেয়াঘাট পার হতে ভোগান্তির মাত্রা বেড়ে যায় বহুগুণে। তাই এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি অন্তত তিনটি উপজেলার ৩০ গ্রামের ভুক্তভোগী হাজারো মানুষের।

ফাজিলাবাড়ী গ্রামের সমাজসেবক আব্দুল আজিজ জানান, জনদুর্ভোগের অপর নাম এই রাজৈর খেয়াঘাট। কারণ এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৩০ গ্রামের ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষজন যাতায়াত করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হন। কেউ অসুস্থ হলে বিশেষ করে রাতের বেলায় নৌকা না পাওয়ায় হাসপাতালে নিতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাই জনদুর্ভোগ লাঘবে এখানে একটি সেতু নির্মাণ করার আকুল দাবি জানাই সরকারের কাছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা অত্যন্ত জরুরি। প্রতিদিন এই ঘাট দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী পারাপার হয়। একবার নৌকা ফেল করলে পরবর্তী নৌকা পেতে কমপক্ষে আধা ঘণ্টা সময় অপেক্ষা করতে হয়। তাই স্কুল-কলেজে যেতে দেরি হয়ে যায়। বিশেষ করে পরীক্ষার সময় নৌকা ফেল করলে আরও বেশি সমস্যায় পড়তে হয়। আবার বর্ষাকালে অনেক সময় নৌকা ডুবে গিয়ে বই-খাতা ও পোশাক নষ্ট হয়ে পড়ালেখায় বিঘ্ন ঘটে।

এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফজলে হাবিব  জানান, এই স্থানে সেতু নির্মাণের কারিগরি সমীক্ষা চলছে। সমীক্ষা শেষে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পেলেই এখানে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।

কেএসটি 

আরও পড়ুন