• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০১৯, ১০:০৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২৪, ২০১৯, ১০:০৩ এএম

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত আমন চাষ করেও দুশ্চিন্তায় কৃষক

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত আমন চাষ করেও দুশ্চিন্তায় কৃষক

নওগাঁর রাণীনগরে চলতি আমন মৌসুমে কৃষি বিভাগের নির্ধারণকৃত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত ৪ হাজার ৮০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষি বিভাগ ও কৃষকরা। কিন্তু লাগাতার ধানের দাম না পাওয়ায় হতাশ কৃষকরা। কৃষকরা বলছেন, বাম্পার ফলনে কৃষকদের গলায় ফাঁস পড়বে। 

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য মতে, এ বছর আমন মৌসুমে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৪ হাজার ৪৫ হেক্টর। বিপরীতে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে এ বছর আমন চাষ হয়েছে ১৮ হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে। খরিপ২/২০১৯ রোপা আমন আবাদের আওতায় উল্লেখিত পরিমাণ জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন মাঠের আমন ধানে শিষ ফুটতে শুরু করেছে। তবে এখন পর্যন্ত আবহাওয়া আমন ধানের অনুকূলে রয়েছে বলে জানায় কৃষি অফিস।

উপজেলার শিয়ালাগ্রামের কৃষক ছলিম উদ্দিন বলেন, এখন ধানের জমি মানে আমাদের গলার ফাঁস। কারণ ধানের দাম না পেলেও আমাদের ধান চাষ করতে হচ্ছে। কারণ এই জমিগুলোতে ধান চাষ করা ছাড়া আর কোন আবাদ করা সম্ভব নয়। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই ধান চাষ করছি। কিন্তু ধানের সঠিক দাম পাওয়ার জন্য কৃষকদের দিকে সরকারের যত্নসহকারে জোরালো নজর দেয়া উচিত। প্রতি মৌসুমের শেষের দিকে এসে ধানের দাম পড়ে যাচ্ছে জানি না আমন মৌসুমে এসে ধানের দাম কি অবস্থায় দাঁড়াবে? এখন ধানের যে অবস্থা তাতে চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে।

কাটরাশইন গ্রামের কৃষক রনজিত সাহা বলেন, এভাবে ধানের দামের দরপতন চলতে থাকলে কৃষকরা হতাশায় মারা যাবে। অনেক কষ্ট করে কৃষকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ধান উৎপাদন করে কিন্তু তাদের কষ্টের মূল্য কৃষকরা পাচ্ছেন না। তাই কোন উপায়ন্ত না পেয়ে আমরা লোকসান ভেবে ধানের চাষ করে যাচ্ছি। আশা করছি এবারও প্রকৃতি ও আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত আমন ধানের অনুকূলে থাকলে এবারও ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছি। মাঠে ধানের শিষ যে ভাবে ফুটতে শুরু করেছে তাতে ফলন অনেকটাই ভালো হবে বলে আমি আশা করছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন, চাষকৃত ধানের মধ্যে উন্নত ফলনশীল উফশী ও স্থানীয় জাতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য চিনি আতপ এবং বিন্না ফুল উল্লেখযোগ্য। তবে যদি কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত না হানে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকে তাহলে চলতি মৌসুমেও কৃষকরা আমন ধানের বাম্পার ফলন পাবেন। এছাড়াও ধানের সকল রোগ সম্পর্কে কৃষকদের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা, আলোচনা সভা ও আলোক ফাঁদ প্রদর্শন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আমন ধান কৃষকদের ঘরে না উঠা পর্যন্ত এই সব কার্যক্রম চলবে। প্রতি বছরের চেয়ে এবারও আমন ধানের ফলন অনেক বেশি হবে বলে আমি আশাবাদি।

কেএসটি

আরও পড়ুন