- ঢাকা
- বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকার ধামরাইয়ে চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী (১৩) ধর্ষণের শিকার হয়ে বর্তমানে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষকের স্ত্রী উজালা বেগমকে আটক করেছে ধামরাই থানার পুলিশ।
এ ছাড়া এই ঘটনায় বিচারের নামে টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারার অভিযোগে স্থানীয় ইউপি মেম্বারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ধামরাই থানায় মামলা করেন।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানায়, গত ৩০ জুলাই বিকেলে ওই স্কুলছাত্রী প্রতিবেশী চৌহাট ইউনিয়নের মুন্সীচর গ্রামের মোকছেদ আলীর (৫৫) বাড়িতে টেলিভিশন দেখতে যায়। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে মোকছেদ আলী ভয়-ভীতি ও হত্যার হুমকি দিয়ে ওই শিশুকে ধর্ষণ করে। পরে আবার হুমকির মুখে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে ওই ব্যক্তি।
গত দুই মাসে ওই শিক্ষার্থীর শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ করেন তার মা। পরে তার মা তাকে জিজ্ঞাসা করলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযুক্ত আসামি মোকসেদ ও তার স্ত্রী উজালা বেগমের সহয়তায় একাধিকবার ধর্ষিত হওয়ার কথা স্বীকার করে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ধর্ষক মোকসেদ ও আমতা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. ফারুক হোসেনসহ একটি চক্র তা মীমাংসার চেষ্টা চালায়। গত ২১ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে বিচারের নামে ওই চক্রটি ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর বাবাকে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য জোর করে।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ধর্ষণের ঘটনা সামাজিকভাবে আপসযোগ্য নয়। ভুক্তভোগী পরিবার থানায় মামলা দায়ের করেছে। অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত উজালা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগী শিশুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
এনআই
