• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০১৯, ০৯:৫৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২৯, ২০১৯, ০৯:৫৪ এএম

রাতের শেষভাগে বইছে শীত : লেপ-তোষক বানাতে ব্যস্ত কারিগররা

রাতের শেষভাগে বইছে শীত : লেপ-তোষক বানাতে ব্যস্ত কারিগররা

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিনে গরম আর রাতের শেষভাগে বইছে শীত। হাড় কাঁপানো শীত না হলেও ঋতু পরিবর্তনে অনুভূত হচ্ছে শীতের আমেজ। আর এ শীত মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন লেপ-তোষকের কারিগররা।

সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে দেখা যায়, পৌরশহরের বাজার রোড, পশ্চিম বাজার, থানার মোড়সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বিরুনীয়া, সিডস্টোর, ডাকাতিয়া আঙ্গারগাড়া, উথুরা, ধলিয়া, শান্তিগঞ্জ বাজার দোকানগুলোতে  লেপ-তোষক বানাতে ব্যস্ত কারিগররা। দোকানের সামনে বসে একটার পর একটা লেপ-তোষক বানাচ্ছেন তারা। 
লেপ-তোষক সেলাইকর্মী জাহিদুল, নূর হোসেন, রফিক নামে কারিগররা বলেন, প্রায় প্রতিদিনই তারা লেপ-তোষক সেলাই করে থাকেন। সাইজ অনুযায়ী প্রতিটি লেপে তারা মুজরি পান ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। সেলাইকর্মীরাও সবাই একই নিয়মে মজুরি নিয়ে থাকেন। দিন শেষে ৫শ থেকে ৭শ টাকা রোজগার হয় তাদের। তা দিয়েই সংসার চালান তারা। লেপ কিনতে আশা ক্রেতা জাহিদুল ইসলাম জানান, দিনে গরম থাকলেও রাতে ঘুমানোর সময় শীত পড়ে। তাই বেশি শীত আসার আগেই শীতের জন্য লেপ বানিয়ে নিচ্ছি। 

ভালুকা পৌর শহরের কাজী বেডিং স্টোরের মালিক মো. সুজন কাজী বলেন, এখনো ভালো করে শীত পড়েনি। এরপরেও রাতে শীত লাগে। প্রতিদিন আমার এখানে প্রায় ১০-১২টি লেপ-তোষকের অর্ডার হয়ে থাকে।

তিনি আরো বলেন, তুলা ও কাপড়ের মূল্য বৃদ্ধি না হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এ বছর অর্ডার একটু বেশি হচ্ছে। শিমুল তুলা প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, কার্পাস তুলা ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, গার্মেন্টস তৈরি কালো হুলু কালা তুলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, সাদা তুলা ৮০ থেকে ১শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া কাপড়ের গজ মান অনুযায়ী প্রতি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। সব মিলিয়ে ভালো মানের একটি লেপ তৈরি করতে ১৫শ থেকে ১৬শ টাকার মতো খরচ হয়। একই মানের একটি তোষকেও খরচ আসে আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা।

কেএসটি

আরও পড়ুন