• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০১৯, ০১:৫৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৩০, ২০১৯, ০১:৫৫ পিএম

৭ নভেম্বর উপলক্ষে বিএনপির মাসব্যাপী কর্মসূচি

৭ নভেম্বর উপলক্ষে বিএনপির মাসব্যাপী কর্মসূচি
যৌথসভায় মির্জা ফখরুলসহ অন্যান্যরা-ছবি : জাগরণ

প্রতিবছরের মতো এবারও ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে দিনটি উদযাপন করবে বিএনপি। এ  উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্পাদকমণ্ডলি ও অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সমন্বয়ে যৌথসভায় এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি জানান, ওইদিন (৭ নভেম্বর) ভোর ৬টায় ঢাকা সহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ১০টায় জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করা হবে। এ ছাড়া অঙ্গ সংগঠনগুলো মাসব্যাপী পৃথক কর্মসূচি পালন করবে। জনসভারও পরিকল্পনা রয়েছে। 

মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ নভেম্বর আমাদের জাতীয় জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ। সে সময় দেশে একদলীয় শাসনের হাত থেকে সিপাহী জনতার সমন্বয়ে বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল।আজও বাংলাদেশে সেরকম পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

তিনি বলেন, আমরা দেশের নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা পাচ্ছি না। বর্তমান সরকার ক্রীড়নকে পরিণত হয়েছে। অর্থনীতি ধ্বংস করে দিচ্ছে। কৃষক ধানের দাম সহ উৎপাদিত পণ্যের মূল্য পাচ্ছে না। দেশে গণতন্ত্র না থাকায় এসব হচ্ছে।

ফখরুল বলেন, যিনি দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই সংগ্রাম করেছেন সেই গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ২০ মাস ধরে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। তার প্রাপ্য জামিনও দিচ্ছে। এটা কোনও আনুকূল্য নয়। ৭ নভেম্বর সামনে রেখে মাসব্যাপী কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণের কাছে যেতে চাই। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের বাকস্বাধীনতা পুনঃ পুনঃ প্রতিষ্ঠা করবো।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা গুরুতর অসুস্থ। বক্তৃতাকালে তিনি তার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন মির্জা ফখরুল।

গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের প্রতিভাবান ক্রিকেট খেলোয়াড়। যে ঘটনা ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক। আশা করবো এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে আর ঘটবে না।

যৌথসভায় অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, মীর সরফত আলী সপু, এ বি এম মোশারফ হোসেন, আবদুস সালাম আজাদ, আ ক ম মোজাম্মেল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কাজী আবুল বাশার, কৃষকদলের হাসান জাফির তুহিন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমদ খান, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহাতাব, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির এবিএম আব্দুর রাজ্জাকসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

টিএস/এসএমএম

আরও পড়ুন