• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০১৯, ১০:২৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৩১, ২০১৯, ১০:৩২ এএম

ইলিশের আশায় সাগরে জেলেরা

ইলিশের আশায় সাগরে জেলেরা

ইলিশের প্রজনন মৌসুমে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আবারও নদী ও সাগরে মাছ শিকারে নেমেছে উপকূলীয় এলাকা বরগুনার পাথরঘাটার জেলেরা। বুধবার রাত ১২টা থেকে শত-শত ট্রলার নিয়ে সাগরে মাছ শিকারে নেমেছেন তারা।

২২ দিন পরিবার পরিজন নিয়ে চলতে কষ্ট হলেও আবারও নিজ পেশায় ফিরতে পেরে খুশি জেলেরা। এবার সাগর ও নদীতে ইলিশের পরিমাণ বাড়বে আশা তাদের। ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞার কারণে ক্ষতিপূরণ হিসেবে জেলেদের ২০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়ছে সরকারের পক্ষ থেকে। নিষেধাজ্ঞার সময়ে সরকারের বরাদ্দকৃত চাল জেলেরা পেয়েছেন। 

মৎস্য অধিদফতর সূত্র জানায়, নিষেধাজ্ঞার এ সময়ে মা ইলিশ ডিম ছাড়তে পেরেছে। কয়েকদিন অপেক্ষা করলেই মিলবে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। গত ৯ থেকে ৩০ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ূন কবির নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন। ম্যাজিস্ট্রেট জানান, পাথরঘাটায় নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন ১৪ হাজার ৩শ ৫০ জন। এর মধ্যে ৮ হাজার ৪শ ৬১ জেলের জন্য ২০ কেজি করে চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।

স্থানীয় জেলেরা জানান, নিষেধাজ্ঞা থাকায় তারা ২২ দিন মাছ শিকার থেকে বিরত ছিলেন। শুধু মাছ ধরাই একমাত্র পেশা হওয়ায় এ দিনগুলোতে অলস সময় পার করতে হয়েছে তাদের। ফের মাছ ধরা শুরু হয়েছে। আশা করছেন প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে।

প্রসঙ্গত, ৯ থেকে ৩০ অক্টোবর ২২ দিন বঙ্গোপসাগর ও নদ-নদীতে ইলিশ ধরার ওপর সরকারের নিষেধাজ্ঞা ছিল। এ সময় ইলিশ মাছ ক্রয়-বিক্রয়, সংরক্ষণ পরিবহন বাজারজাতকরণ ও মজুত নিষিদ্ধ ছিল। আরোপিত সরকারি নিষেধাজ্ঞা গতরাত থেকে উঠে গেছে। জেলেরা দল বেধে মাছ ধরতে নদী ও সাগরে যাচ্ছেন।

এ বিষয় পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার বলেন, মা ইলিশ যাতে নিরাপদে ডিম ছাড়তে পারে সে জন্য (৯ থেকে ৩০ অক্টোবর) পর্যন্ত নদী ও সাগরে ইলিশ ধরা, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও পরিবহন নিষিদ্ধ ছিল। এই আইন বাস্তবায়নে মৎস্য অধিদপ্তর, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ এবং স্থানীয় মৎস্য দফতরের উদ্যোগে ব্যাপকভাবে অভিযান পরিচালনা করা হয়। মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষে ও জেলেদের উপকারের স্বার্থেই সরকারের এ আইন। আইন বাস্তবায়নের লক্ষেই জেলেদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতা বিষয়ক সভা-সভাবেশ করা হয়েছে। এতে করে স্থানীয়দের জেলেদের মধ্যে সচেতনতা এসেছে। যে কারণে বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবারের মা ইলিশ সংরক্ষণ অনেক বেশি সফল।

কেএসটি

আরও পড়ুন