• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০১৯, ০৮:৩২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২, ২০১৯, ০৮:৩৩ এএম

মরণফাঁদে পরিণত গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ সড়ক

মরণফাঁদে পরিণত গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ সড়ক

গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের ফারাজিপাড়া এলাকায় সড়কের বেহাল দশায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয় জনগণ। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মারাত্মক দুর্ঘটনার সম্ভাবনা। দুর্ঘটনার সম্ভাবনা সত্ত্বেও প্রতিদিন এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পথে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে শত শত যানবাহনে লক্ষাধিক মানুষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে গভীর গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ভেঙে ও দেবে যাওয়া অংশ রাস্তার প্রায় মাঝপথে চলে গেছে। গাইবান্ধা শহর থেকে সুন্দরগঞ্জ সড়কের ফকিরপাড়া, ফারাজীপাড়া এলাকার প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তায় ব্যাপক খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে দিনদিন ভেঙে যাওয়া রাস্তাটিতে গভীর গর্ত আর খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে সড়কটি এখন একটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।

এদিকে, সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও এক প্রকার বাধ্য হয়ে প্রতিদিন ঢাকাগামী বাস, পাট বোঝাই ট্রাক, বালু-পাথরের ট্রাক, মাইক্রোবাস, সিএনজি, মোটরসাইকেল, স্কুলবাস, ম্যাজিক, অটোরিকশা, ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন শতশত যানবাহনে চলাচল করছে লক্ষাধিক মানুষ। সঙ্গত কারণে প্রায় প্রতিদিন ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।

প্রতিদিন মোটর সাইকেলে যাতায়াত করেন কুপতলা ইউনিয়নের মো. জিহাদ। তিনি এই প্রতিবেদককে দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বেশ কিছু জায়গায় রাস্তার প্রায় অর্ধ্বেক পিচসহ ধসে বিরাট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে ভেঙে যাওয়া অংশে পড়ে নির্ঘাত মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গেছে।  

ফকিরপাড়ার অটোরিকশা চালক সোহেল মিয়া বলেন, বিগত এক মাসে প্রায় ২ দু’বার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছি এই জায়গায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আমাদেরকে উদ্ধার করেছে। গাড়িতে ছোট বাচ্চা ছিল, আল্লাহ বাঁচিয়েছে।

মর্ডান উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মনিষা বলেন, রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এভাবে রাস্তা পার হতে গিয়ে আমার ভাগ্নে জাকির অটোরিকশার চাপায় দেড়মাস আগে নিহত হয়।

সড়কের এই ভয়াবহ বিপর্যয়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান জাগরণকে বলেন, বন্যার পরে ভেঙে যাওয়া রাস্তাগুলোর একটি তালিকা করে বাজেটের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে খুব শিগগিরই রাস্তার মেরামত করা হবে।

কেএসটি

আরও পড়ুন