• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০১৯, ০৭:২২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৩, ২০১৯, ০৭:২২ পিএম

খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নারীকে মধ্যযুগীয় নির্যাতন

খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নারীকে মধ্যযুগীয় নির্যাতন

বগুড়ার শিবগঞ্জে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক নারী। খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রেখে তার ওপর চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। শুক্রবার (১ নভেম্বর) উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের অনন্তবালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায়  রোববার (৩ নভেম্বর) সকালে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে নির্যাতিত ঐ নারী।

জানা যায়, বগুড়া সদরের গোকুল ইউনিয়নের পলাশবাড়ী গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে শিল্পী খাতুন (৪০) ঠেঙ্গামারা এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনে শ্রমিকের কাজ করতো। এদিকে একই এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে রাজ ম‌িস্ত্রির কাজ করে শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের অনন্তবালা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে মো. রাফির (২৬) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয় শিল্পীর। ৮-৯ মাস আগে তারা গোপনে বিয়েও করে। তারপর সদরের বাঘোপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন তারা।
কিন্তু হঠাৎ স্বামী রাফি ১৫-২০ দিন ধরে তার খোঁজ খবর না নেয়ায় শুক্রবার সকালে শিবগঞ্জের অনন্তবালা গ্রামে ঘর ভাড়ার টাকা নিতে স্বামী রাফির বাড়িতে যান শিল্পী। সে সময় শিল্পীকে স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিতে অস্বীকৃতি জানায় রাফি। এবং তাকে একটি খুঁটির সাথে বেঁধে লাঠিপেটা করে রাফি। এদিকে তার ডাকচিৎকারে এলাকার লোকজন চলে আসে। রাফি ও তার বাড়ির লোকজন ঘটনাটি অন্যদিকে প্রবাহিত করতে জমি থেকে কপির গাছ তুলে এনে তাকে কপির চারা নষ্টে অপবাদ দেন।
শুধু তাই নয় নির্যাতনের শিকার এই নারীকে কপির চারা নষ্টের অপরাধে শাস্তির জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হাজির করা হয়। পরে ঘটনাটি শোনার পর নির্যাতিত নারীকে মামলা করার পরামর্শ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

এ ব্যাপারে রোববার বিকালে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কপির চারা নষ্ট করায় স্থানীয় লোকজন তাকে বেঁধে রাখে। পরে ইউনিয়ন পরিষদে হাজির করলে তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিলে। পরে তার জিডি নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। 
ওসি আরো বলেন, ভুক্তভোগী ঐ নারীর পরিবার প্রথমে মামলা করতে রাজি ছিল না। এছাড়া ঐ নারীকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে রোববার সকালে মামলা করতে আসলে মামলা নিয়েছি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কেএসটি

আরও পড়ুন