• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০১৯, ০৯:২৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৫, ২০১৯, ০৯:২৮ এএম

উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলায় তীব্র পেট্রোল সংকট 

উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলায় তীব্র পেট্রোল সংকট 

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে রেলহেড অয়েল ডিপোতে পেট্রোলের মজুদ আশঙ্কাজনক হারে কমে যাওয়ায় উত্তরাঞ্চলের আট জেলায় পেট্রোলের সরবরাহ প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। এ ডিপোতে দৈনিক পেট্রোলের চাহিদা এক লাখ ৮০ হাজার লিটার। কিন্তু বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে মাত্র এক লাখ ৮০ হাজার লিটার ডিপোতে পেট্রোল সরবরাহ দেয়া হচ্ছে। 

ডিপোর একটি সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মৌলভীবাজারের রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড হতে সড়ক পথে পার্বতীপুর রেলহেড অয়েল ডিপোতে পেট্রোল সরবরাহ দেয়া হতো। পেট্রোল বাংলার আওতাধীন তিন কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড একদিন পর পর ট্যাংকলরিতে করে ৪ লাখ ৫ হাজার লিটার পেট্রোল পার্বতীপুর রেলহেড অয়েল ডিপোতে পেট্রোল সরবরাহ করতো। ডিপো থেকে প্রতিদিন উত্তরাঞ্চলের আট জেলা ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারী, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও গাইবান্ধার ৪৫০ পেট্রোল পাম্পে পেট্রোল সরবরাহ করা হতো। এতে এ অঞ্চলের পেট্রোলের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হতো। প্রায় মাস খানিক ধরে রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড থেকে হঠাৎ করে পেট্রোল আসা কমে যাওয়ায় ডিপোতে পেট্রোল সংকট দেখা দিয়েছে। 

অয়েল ডিপোর ইনচার্জ আজম খান বলেন, যেখানে আগে তিন কোম্পানি মিলে সপ্তাহে একশ লরি পেট্রোল আসতো,  সেখানে সপ্তাহে আসছে মাত্র ৩০ লরি পেট্রোল। বর্তমানে গ্যাস ফিল্ড থেকে যে পরিমাণ পেট্রোল আসছে তাই আমরা ডিলার ও এজেন্টেদের সরবরাহ করছি। 

দিনাজপুর জেলা পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রওশন আলী সরকার বলেন, পার্বতীপুর রেলহেড অয়েল ডিপোতে প্রায় মাস খানিক ধরে পেট্রোলের সংকট চলছে। আমার চাহিদার ৪ ভাগের মাত্র ১ ভাগ পেট্রোল সরবরাহ পাচ্ছি। পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওয়ে পেট্রোল সংকট চরমে। ইতিমধ্যে অনেকে পেট্রোল পাম্প বন্ধ রেখেছেন। দ্রুতই পেট্রোলের সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে পেট্রোল সংকট চরম আকার ধারণ করবে। 

তিনি বলেন, পেট্রোল সংকটের ব্যাপারে বগুড়ায় তিন কোম্পানির এজিএমদের সাথে আলোচনা হয়েছে। তারাও সংকটের কোন সুরাহা দিতে পারেনি। 

এদিকে, পেট্রোল নিতে আসা ট্যাংকলরিগুলো টার্মিনালে ৫/৭ দিন অপেক্ষা করেও পেট্রোল না পাওয়ায় ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন।

কেএসটি

আরও পড়ুন