বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের মধ্যে অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক বিরাজ করছে। দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র রয়েছে। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চুক্তির পর পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নে এগিয়ে আসা দেশের মধ্যে ডেনমার্ক অন্যতম। দীর্ঘ দিনের দ্বন্দ্ব-সংঘাতের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। শান্তিচুক্তির পর এখানে
কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন, অবকাঠামো ও পর্যটন খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপির সাথে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসেন সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টায় ১৯৯৭ সালের ২ ডিসম্বের পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রাকৃতিক ও নৈসর্গিক ক্ষেত্র পার্বত্য চট্টগ্রাম। এখানে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো তঞ্চঙ্গ্যাসহ বহু ভাষাভাষী মানুষ বসবাস করে।

তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের ভিশন-২০২১ ও ভিশন ২০৪১-এর আলোকে ইতোমধ্যে পার্বত্য অঞ্চলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, নারীর ক্ষমতায়ন, খাদ্য নিরাপত্তা,
জলবায়ু পরিবর্তন ও পর্যটন খাতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অঞ্চলের উন্নয়নে ১৭টি প্রকল্প ও স্কিম বাস্তবায়ন করছে। কৃষকদের কফি ও কাজুবাদাম চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

যোগাযোগব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হওয়ায় কৃষক তাদের পণ্য সহজে বাজারজাত করছে ও ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে বলে মন্ত্রী জানান।

এ সময় মন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে পার্বত্য চট্টগ্রামের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখায় ধন্যবাদ জানান এবং  সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি রাষ্ট্রদূতকে পার্বত্য চট্টগ্রামের অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে সফরের আমন্ত্রণ জানান।

রাষ্ট্রদূত বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে ডানিডা দীর্ঘদিন ধরে সহযোগিতা করে আসছে। এ অঞ্চলের অধিবাসীদের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় এবং নারীর ক্ষমতায়নে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব সুদত্ত চাকমা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এনআই