• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০১৯, ০৫:৫১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৮, ২০১৯, ০৫:৫১ পিএম

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় বাগেরহাটে ২৩৪ সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় বাগেরহাটে ২৩৪ সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা  -  ছবি : জাগরণ

সুন্দরবন উপকূলে ধেয়ে আসছে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। এর প্রভাবে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। এ জন্য শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকালে মোংলা সমুদ্রবন্দরসহ আশপাশের উপকূলীয় এলাকাকে (চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা) ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলকে মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বাগেরহাট জেলা প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে জেলার সকল ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রসহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া সব উপজেলায় একটি করে মেডিকেল টিম ও কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

শুক্রবার দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দুর্যোগ মোকাবিলায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কামরুল ইসলামকে জেলার ফোকাল পারসন হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায়, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক দেব প্রসাদ পাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক কামরুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ তানজিল্লুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ড বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদুজ্জামান খান, রেড ক্রিসেন্ট কর্মকর্তা অধ্যাপক বুলবুল কবির, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বাগেরহাটের উপসহকারী পরিচালক মাসুদ সরদারসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।

সভায় জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ জানান, জেলায় ২৩৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। দুর্যোগে কোথাও বড় ধরনের সমস্যা হলে তাৎক্ষণিকভাবে খবর নেয়ার জন্য জেলায় ১০টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে জনসাধারণকে সচেতন করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা নিজ নিজ উপজেলায় সভা করবেন। এছাড়া সমুদ্রে থাকা সকল নৌযানকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি কোনো নৌযান নির্দেশ অমান্য করে যাতে চলতে না পারে, সেজন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য সাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আরো উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য সাগর এলাকায় অবস্থান করছে।

পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মাহমুদুল হাসান জানান, ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। অবস্থা প্রতিকূল হলে দুবলার চরে জেলেদের মাছ ধরতে অনুমতি দেয়া হবে না। এরই মধ্যে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এনআই

আরও পড়ুন