• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০১৯, ০৬:৪৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৮, ২০১৯, ০৬:৪৬ পিএম

পঞ্চগড়ে বাসচাপায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭

পঞ্চগড়ে বাসচাপায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭
দুর্ঘটনার পর মহাসড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ  -  ছবি : জাগরণ

পঞ্চগড় সদর উপজেলায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে (ইজিবাইক) যাত্রীবাহী মিনিবাসের চাপা দেয়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭। নিহতরা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে পঞ্চগড়-তেঁতুলিয়া মহাসড়কের আমতলা এলাকায় মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই ৫ জনের মৃত্যু হয়। বাকি দুজন হাসপাতালে মারা যান। দুর্ঘটনার পর ক্ষুব্ধ লোকজন প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন।

নিহতরা হলেন তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের মাঝিপাড়া ডাকবদলি গ্রামের লাবু (২৭) ও তার স্ত্রী মুক্তি (১৮), সদর উপজেলার সাতমোড়া ইউনিয়নের চেকড়মারি গ্রামের অটোরিকশার চালক রফিক (২৮), রায়পাড়া গ্রামের মাকুদ হোসেন (৪৩) ও সাহেবিজোত গ্রামের আকবর আলীর স্ত্রী নারগিস (৪২) এবং অমরখানা ইউনিয়নের সুড়িভিটা গ্রামের আকবর আলী (৭০) ও তার স্ত্রী নুরিমা বেগম (৬৫)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যাত্রীবাহী কাজী পরিবহনের মিনিবাসটি পঞ্চগড় থেকে তেঁতুলিয়া যাওয়ার পথে সদর উপজেলার জগদল এলাকায় আসতে থাকা অটোরিকশাটিকে চাপা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে ৫ জন নিহত হন। গুরুতর আহত অন্য দুজনকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে তারাও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। নিহত ৭ জনই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। নিহতদের মধ্যে ৩ জন নারী ও ৪ জন পুরুষ। তাদের মধ্যে অটোরিকশার চালকও রয়েছেন। দুর্ঘটনার পর ঘাতক বাসের চালক পালিয়ে যান। এতে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে মহাসড়কে অবস্থান নেন। তারা থেমে থেমে বিক্ষোভ করেন ও দুপুর প্রায় ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার নিরঞ্জন সরকার বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা ৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করি। এর আগেই স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় ২ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা ক্ষুব্ধ লোকজনের তোপের মুখে পড়েন। এর আগে আহতদের উদ্ধারে গেলে হাইওয়ে পুলিশ সদস্যদের ওপর ক্ষুব্ধ লোকজন হামলা চালায়। হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজি নিয়ে স্থানীয় লোকজন আগে থেকেই ক্ষুব্ধ ছিল।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী ৭ জনের নিহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কাজ চলছে। বাসটি আটক করা হলেও চালক পলাতক রয়েছে।

জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে প্রধান করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

এনআই

আরও পড়ুন