• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০১৯, ০৭:৫১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৯, ২০১৯, ০৭:৫১ পিএম

বরিশালের ৬ জেলার ১২ লাখ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে

বরিশালের ৬ জেলার ১২ লাখ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে
আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে লোকজনকে - ছবি : জাগরণ

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাত থেকে রক্ষা পেতে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বরিশাল বিভাগের ৬টি জেলার উপকূলের মানুষকে। এরই মধ্যে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিভাগের ৬ জেলার প্রায় ১২ লাখের বেশি মানুষ সাইক্লোন শেল্টারসহ বিভিন্ন কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।

এছাড়া ২০ লাখের বেশি গবাদিপশু নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বরিশাল সিটি করপোরেশন এবং বিভাগের ৬টি জেলার জেলা প্রশাসকগণ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে আশ্রয় নেয়া মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন তারা।

জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ভোলা ও পটুয়াখালী জেলার সাইক্লোন শেল্টারসহ অন্যান্য আশ্রয়কেন্দ্রে বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

এর মধ্যে ভোলা জেলার প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিকি জানান, নদীবেষ্টিত ভোলা জেলায় উপকূলীয় এলাকা বেশি। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ জেলার ৭০৪টি সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে ৩ লাখ ৩২ হাজার ৬৩৭ জন মানুষ। এছাড়া নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা গবাদিপশুর সংখ্যা এক লাখের কাছাকাছি হবে।

অপরদিকে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, বঙ্গোপসাগরের কাছাকাছি জেলা হওয়ায় এখানকার মানুষের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ইতিপূর্বে আইলা এবং সিডরেও সর্বোচ্চ ক্ষতি হয়েছে এই অঞ্চলের মানুষের।

এ কারণে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর আতঙ্কে দুপুর ২টার পর থেকেই উপকূলের মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে শুরু করে। প্রয়োজনীয় মালামাল, খাদ্যদ্রব্য এবং গবাদিপশু নিয়ে আশ্রয় নেয় সাইক্লোন শেল্টারে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পটুয়াখালীর মোট ৬৮৯টি সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে ৪ লাখ ৩৫ হাজারের মতো। এছাড়া গবাদিপশু আশ্রয় নিয়েছে ৮৫ হাজার ৩৩৩টি।

অন্যদিকে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, ‘বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে সব মিলিয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৫১০টি সাইক্লোন শেল্টারে ৭৫ হাজার ৮৭১ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এ সংখ্যা লাখ ছাড়াবে বলে মনে করছেন তিনি। তাছাড়া এখন পর্যন্ত ৯ হাজার গবাদিপশু-পাখি আশ্রয় দেয়া হয়েছে সাইক্লোন সেল্টারের আশপাশে।

পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন জানান, তাদের ২২৮টি সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এখানে আশ্রয় নিয়েছে ৬৪ হাজার ৪৬৪ জন। তবে আশ্রয় নেয়া গবাদী পশু-পাখির নির্দিষ্ট সংখ্যা জানাতে পারেননি তিনি।

এদিকে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানান, তাদের জেলার ৭৪টি সাইক্লোন শেল্টারে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত আশ্রয় নিয়েছে ৭ হাজার ৪৫ জন। আর গবাদিপশু-পাখির সংখ্যা ৮ শতাধিক। তবে আশ্রয় নেয়াদের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এছাড়া বরিশাল জেলার ২৩২টি সাইক্লোন শেল্টারে এখন পর্যন্ত আশ্রয় নিয়েছে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেন, বরিশালে উপকূলীয় এলাকার সংখ্যা কম। নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষদের নিয়ে আসা হচ্ছে সাইক্লোন শেল্টার সেন্টারে। যে কারণে সন্ধ্যা ৭টার পরে আশ্রয় নেয়া মানুষের সংখ্যা লাখ ছাড়াতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এনআই

আরও পড়ুন