• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০১৯, ০১:১৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১১, ২০১৯, ০১:১৩ পিএম

লক্ষ্মীপুরে ঘূর্ণিঝড়ে শতাধিক কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত

লক্ষ্মীপুরে ঘূর্ণিঝড়ে শতাধিক কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও রায়পুরে অর্ধশতাধিক কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এসময় পাঁচ জন আহত। এতে গাছপালা উপড়ে পড়েছে। শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সোমবার (১১ নভেম্বর) বিদ্যুতিক তার ছিড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। 

তবে প্রবল বাতাস ও বৃষ্টিতে রামগতি, কমলনগর ও রায়পুর উপজেলার চরাঞ্চলের চলতি মৌসুমের আমন ধান ও শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মেঘনার পানি ২-৩ ফুট উচ্চতা বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

রোববার (১০ নভেম্বর) রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশীর, দক্ষিণ চরবংশী ও উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের মেঘনা উপকূলীয় এলাকার চরকাচিয়া, চর জালিয়া, হাজীমারা, মোল্লার হাট ও হায়দরগঞ্জ গ্রামে এবং রামগতি উপজেলার বিচ্ছিন্ন চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নের তেলির চর, চেয়ারম্যান বাজার ও কামাল বাজারে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আঘাত হানে। প্রায় ২০ মিনিটের ঝড়ে শতাধিক কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত হয়।

রামগতি চর আবদুল্লাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মঞ্জু ও রায়পুর দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সালেহ মিন্টু ফরায়েজী বলেন, প্রায় ২০ মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে পৃথক ২ উপজেলায় শতাধিক কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত হয়। তিন হতে পাঁচ জন আহত হলেও বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কিশোর কুমার মজুমদার জানান, রায়পুর ও রামগতি উপজেলায় মেঘনা উপকলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় আমন ধান ও শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির নিরূপণের কাজ চলছে।

রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মোমিন ও রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিন চৌধুরী বলেন, চর আবদুল্লাহ ইউনিয়ন ও চরবংশী ইউনিয়নের চরকাচিয়া, মোল্লার হাট ও হাজীমারা স্লুইসগেট এলাকায় আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হলেও বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।

কেএসটি

আরও পড়ুন