ঘাতক মহিষটি ৯ ঘণ্টা পর রোববার (১০ নভেম্বর) দিবাগত ১টার দিকে কালমিনা বিলে আটক করেছে জনতা। মহিষটি ময়মনসিংহে ফুলবাড়ীয়া উপজেলার বালিয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। চেয়ারম্যানের অভিযোগ ঘাতক মহিষটি গভীর রাতে আটক হলেও এখন পর্যন্ত খোঁজ নেয়নি প্রাণি সম্পদের লোকজন। তিনি বলেন, মহিষটিকে বরাক লাগানো হয়েছে। সে স্থান থেকে রক্ত ঝরছে। দিকবেদিক ছুটাছুটিতে আহত হয়েছে মহিষটি।  
আটক হওয়ার আগে ঘাতক মহিষটির আক্রমণে শামছুল হক খলিফা নামে একজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন  মুকুল, সালাম, ফারুক, রফিকুল, আজিজুলসহ অন্তত ৩০ জন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রোববার দুপুরে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া পৌর সদরের হাটে একটি মহিষ তোলেন শফিকুল ও চানু কসাই। বিকাল ৪টার দিকে হঠাৎ করে মহিষটি ছুট দেয়, আক্রমণ চালায় মানুষ ও বাজারের গরুর ওপর। শিং দিয়ে আঘাত করে শামছুল হক খলিফা নামের এক গরু ব্যবসায়ীকে মেরে ফেলে। মুহূর্তেই গরুর বাজার একেবারে ফাঁকা হয়ে যায়। গরুগুলো দিকবিদিক ছুটোছুটি করে চলে যায়। গরুর বাজারের বেশ কয়জনকে আহত করে কুশমাইল গ্রামের দিকে  ছুটে যায় মহিষটি। রাত ৮টার দিকে আবারও মহিষটি বাজারের ভেতরে চলে আসলে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। সড়কের ওপর দোকানগুলো বন্ধ করে ফেলা হয়। কিছুক্ষণ পর পর মহিষটি অবস্থান পরিবর্তন করায় ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ মহিষটি আটকের চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে রাত ১টার দিকে বৈদ্যবাড়ির কালমিনা বিলের হুগলির খালে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মহিষটি আটক করা হয়

ফুলবাড়ীয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ তালুদার জানান, আটক মহিষটি চেয়ারম্যানের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। মহিষটি সুস্থ হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

কেএসটি