মোংলায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে ১৩৭০টি কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া পানিতে তলিয়ে ভেসে গেছে ১ হাজার ৬৮০টি ঘেরের বাগদা চিংড়ি ও সাদা মাছ। এদিকে, দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সরকাররের পক্ষ থেকে পর্যায়ক্রমে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাহাত মান্নান।
দুর্যোগ কেটে যাওয়ায় সোমবার (১১ নভেম্বর) সকাল থেকে মোংলা বন্দরে শুরু হয়েছে পণ্য ওঠানামার কাজ শুরু হয়েছে। বন্দরে অবস্থানরত ১৪টি বিদেশি জাহাজে সকাল থেকে কাজ শুরু হয়। এছাড়া সোমবার আরো ৬টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ এ বন্দরে ভিড়েছে এবং ২টি বন্দর ত্যাগ করেছে বলে জানান বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার ফখর উদ্দিন।
এছাড়া ঝড়ে গাছপালা পড়ে বৈদ্যুতিক লাইন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় টানা দুইদিন ধরে মোংলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে মোংলার শিল্প এলাকার কলকারখানাগুলোর উৎপাদন বন্ধের পাশাপাশি দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়ি ঘর ও অফিস আদালতের স্বাভাবিক কাজ কর্ম মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। বিদ্যুৎবিহীন চরম ভোগান্তিতে রয়েছে মোংলার বাসিন্দারা। সোমবার বিকাল পর্যন্ত শহরের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি।
কেএসটি