• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০১৯, ০৬:২০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১১, ২০১৯, ০৬:২০ পিএম

‘হাজার বছরেও বঙ্গবন্ধুর জন্ম হবে না, মুক্তিযুদ্ধও হবে না’

‘হাজার বছরেও বঙ্গবন্ধুর জন্ম হবে না, মুক্তিযুদ্ধও হবে না’

হাজার বছরেও বঙ্গবন্ধুর জন্ম হবে না, মুক্তিযুদ্ধও হবে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম এমপি বলেছেন, পঁচাত্তরের পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হারিয়ে গিয়েছিল, ভুলুণ্ঠিত হয়েছিল এমনকি মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয় পর্যন্ত ছিল না। ২১ বছর পর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা ফিরিয়ে দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের বড় গর্ব, তারা একাত্তরে বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। এ সম্মান টাকা দিয়ে কেনা যাবে না।

সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকালে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ জিন্দানী কলেজ মাঠে পলাশডাঙ্গা যুব শিবির আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা-জনতা মহাসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। 

মোহাম্মদ নাসিম আরও বলেছেন, একাত্তর সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এদেশের নারী পুরুষ, কৃষক তাঁতী, সাদা কালো সবাই এক হয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিল। বাঙালিকে মুক্ত করেছিল। কিন্তু সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে দেশকে আবার পাকিস্তানি ধারায় নিয়ে গিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১৯ বার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও আবার দেশকে মুক্তিযুদ্ধের ধারায় ফিরিয়ে এনেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিয়েছেন। শেখ হাসিনা একমাত্র নেত্রী যিনি ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে সে মর্যাদা আবার ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি  জীবনবাজী রেখে বাংলাদেশের গণমানুষের সেবায় উৎসর্গ করেছেন নিজেকে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছন। আর খালেদা জিয়ার শাসন আমলে বাংলাদেশ অন্ধকারে ছিল। আর শেখ হাসিনা সে অন্ধকার দূর করে উন্নয়নের বাতি জ্বালিয়েছেন বাংলার ঘরে ঘরে। 

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন উত্তরাঞ্চলের বেসরকারি মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর আব্দুল লতিফ মির্জা পরিচালিত পলাশডাঙ্গা যুব শিবির আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা-জনতা মিলন মেলার এই মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন তাড়াশ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজ এমপি, অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপি, পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের সর্বাধিনায়ক গাজী সোহরাব আলী সরকার, সহসর্বাধিনায়ক সাবেক এমপি গাজী ম.ম আমজাদ হোসেন মিলন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গাজী সফিকুল ইসলাম শফি, তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল হক, সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত কর্মকার প্রমুখ।

কেএসটি

আরও পড়ুন