• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০১৯, ০৯:১০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১২, ২০১৯, ০৯:১৬ এএম

‘তূর্ণার চালক সিগন্যাল অমান্য করায় এই দুর্ঘটনা’

‘তূর্ণার চালক সিগন্যাল অমান্য করায় এই দুর্ঘটনা’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অভিমুখী ‘তূর্ণা নিশীথা’র সঙ্গে সিলেট থেকে চট্টগ্রাম ছেড়ে যাওয়া ‘উদয়ন এক্সপ্রেস’ ট্রেনের সংঘর্ষ ১৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত ৩টার দিকে উপজেলার মন্দবাগ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। 

এদিকে, অভিযোগ উঠেছে- তূর্ণার চালক তথা লোকো মাস্টার সিগন্যাল অমান্য করায় এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

মন্দবাগ স্টেশনের মাস্টার জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, তূর্ণার চালককে ট্রেন থামানোর জন্য আউটার ও হোম দুই স্থানেই লাল বাতি সংকেত দেয়া হয়েছিল। কিন্ত চালক ট্রেন দাঁড় করাননি বলেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ট্রেনের অন্য কর্মকর্তারা জানান, উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নিশীথার মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে চলন্ত অবস্থায়। উদয়নকে লুপ বা সাইড লাইনে যখন পাঠানো হচ্ছিল তখন এর পেছনের তিনটি বগি মূল লাইনে থাকতেই ঢাকাগামী তূর্ণা চলে আসে এবং এ সংঘর্ষ ঘটে।

কর্মকর্তারা আরো জানান, মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বগির নিচে আরো মরদেহ থাকতে পারে। হতাহতদের উদ্ধার কাজ চলছে। দুর্ঘটনায় উদয়নের দুটি বগি দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঢাকার সঙ্গে সিলেট ও চট্টগ্রামের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এরই মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। 

জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা জানান, এ পর্যন্ত ১৫ জন নিহত হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে ৯ জন, কসবা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তিনজন, বাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে দুই জন ও কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়। 

কেএসটি

আরও পড়ুন