• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০১৯, ০৯:৩৯ এএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১২, ২০১৯, ০৯:৩৯ এএম

তদন্ত কমিটি গঠন, ৫ জন বরখাস্ত

বেনাপোল কাস্টম হাউসে লকার ভেঙে চুরি 

বেনাপোল কাস্টম হাউসে লকার ভেঙে চুরি 

বেনাপোল কাস্টম হাউসের নিরাপদ গোপনীয় লকার ভেঙে সোনা, ডলারসহ মূল্যবান পণ্য সামগ্রী চুরি হয়েছে। দুর্ধর্ষ চুরি উদঘাটনে পোর্ট থানাসহ র‌্যাব, ডিবি, সিআইডি (ক্রাইম সিন) ও পিবিআই ঘটনাস্থলে তদন্ত কাজ শুরু করেছেন। 

শনিবার অফিস করার পর রোববার সরকারি ছুটি থাকায় কেউ অফিসে ছিলেন না। সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে অফিস খুললে চুরির বিষয়টি ধরা পড়ে। এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে কাস্টম পাড়ায়। কি পরিমাণ মালামাল খোয়া গেছে তা কাস্টমের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভোল্ট ইনচার্জসহ ৫ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

কাস্টম সূত্র জানায়, কাস্টম হাউসের পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলায় গোপনীয় একটি কক্ষে তালা ভেঙে লোহার লকার ভেঙে মূল্যবান বিপুল পরিমাণ সোনা, ডলার ও টাকাসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র নিয়ে যায় চোররা। সেই কক্ষে প্রবেশ করার পূর্বে সংঘবদ্ধ চোর চক্র সিসি ক্যামেরার সবগুলো সংযোগ কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। সেখান থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে বলে কাস্টম সূত্রটির দাবি। 

খবর পেয়ে কাস্টমের বিভিন্ন কর্মকর্তাসহ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা। তারপর থেকে ওই স্থানে পুলিশ মোতায়ন করা হয়। সর্বশেষ বিকাল ৫টা নাগাদ ডিবি, সিআইডি, পিবিআই, র‌্যাব ও বেনাপোল পোর্ট থানার কর্মকর্তারা ওই লকার রুমে প্রবেশ করেন। এ সময় হাত পায়ের ছাপ নির্ণয় করার সময় উপস্থিত ছিলেন- ডিএসবির এএসপি তৌহিদুল ইসলাম, ইন্সপেক্টর সৈয়দ মামুন হোসেন, র‌্যাব কর্মকর্তা কামরুজ্জামান, আতিকুর রহমান, বেনাপোল কাস্টম হাউজের যুগ্ম কমিশনার শহিদুল ইসলাম, এআরও জিএম আশরাফ, বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান প্রমুখ। তারা যৌথভাবে তদন্ত চালাচ্ছে। তদন্তের পর জানা যাবে কি পরিমাণ মালামাল সেখান থেকে চোরেরা নিয়ে গেছে। 

বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন খান জানান, বেনাপোল কাস্টমের গুদামে বিকল্প চাবি ব্যবহার করে চুরির ঘটনা ঘটেছে। কি পরিমাণ পণ্য খোয়া গেছে তার কাজ চলছে। তবে সেখানে বিপুল পরিমাণ সোনা ছিল বলে জেনেছি। এখানে পুলিশ সুপার মঈনুল হকসহ সিআইডি ও পিবিআই কর্মকর্তরা তদন্ত কাজ চালাচ্ছেন।

বেনাপোল কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার শহিদুল ইসলাম বলেন, কি পরিমাণ অর্থ সম্পদ খোয়া গেছে এটা এই মুহুর্তে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী জানান, কাস্টমের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কড়াকাড়ি, ভায়াগ্রা চক্রের অপতৎপরতা ও কাস্টমস কমিশনারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার জন্য একটি চক্র এ কাজের সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে তিনি জানান। ভোল্ট ইনচার্জ সাহাবুল সরদারসহ ৫ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় যুগ্ম কমিশনার মো. শহীদুল ইসলামকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে তিনি জানান। 

কেএসটি

আরও পড়ুন