• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০১৯, ১০:২৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১২, ২০১৯, ১০:২৩ এএম

আজ ভয়াল ১২ নভেম্বর : লক্ষ্মীপুরে প্রাণ হারায় ৫০ হাজার মানুষ 

আজ ভয়াল ১২ নভেম্বর : লক্ষ্মীপুরে প্রাণ হারায় ৫০ হাজার মানুষ 

আজ সেই ভয়াল ১২ নভেম্বর। ১৯৭০ সালের এই দিনে লক্ষ্মীপুরসহ উপকূলীয় জেলাগুলোতে মহাপ্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস আঘাত হানে। প্রলয়ংকারী এ রাতে জেলার রামগতি ও কমলনগরে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। এর আঘাতে মেঘনা ও ভুলুয়া নদীর উপকূলীয় চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা ৮ থেকে ১০ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। স্রোতে ভেসে যায় নারী শিশু ও বৃদ্ধসহ অসংখ্য মানুষ। 

স্বজন হারারা জানান, সে দিন রেডিওতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেয়া হয়। কিন্তু উপকূলে পর্যাপ্ত রেডিও ছিল না। যাদের ছিল তারা বিশ্বাস করেনি। ওই দিন সকাল থেকেই গুড়ি-গুড়ি বৃষ্টি ছিল। সন্ধ্যায় থেকে হালকা বাতাস শুরু হয়। গভীর রাতে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস আঘাত হানে। যার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২২২ কিলোমিটার। ঝড় আর পাড়াহসম স্রোতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় উপকূল।

জানা গেছে, দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় আর জলোচ্ছ্বাস লক্ষ্মীপুরের রামগতির মেঘনা উপকূলীয় চরআবদুল্লাহ কমলনগরের ভুলুয়ানদী উপকূলীয় চরকাদিরাসহ নোয়াখালীর হাতিয়া, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় এটি হানা দেয়। চারদিকে লাশ আর লাশ, লাশের গন্ধে মানুষ কাছে যেতে পারেনি। ৩-১০ ফুটের জলোচ্ছ্বাসের কারণে মাটি দেয়া যায়নি মৃত মানুষগুলোকে। 

এদিকে, ১২ নভেম্বর এলেই নির্দিষ্ট কিছু সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করে। মিলাদ মাহফিল, কোরআনখানি ও নিহতদের স্মরণে স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এত বড় একটি ঘটনা রাষ্ট্রীয়ভাবে স্মরণ করা হয় না। যে কারণে এই দিনটিকে উপকূল দিবস করার দাবি উঠেছে। লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ, কমলনগর প্রেসক্লাব, রায়পুর ও রামগতিতে কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উপকূল দিবস বাস্তবায়নের দাবিতে র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করবে বলে জানা গেছে। 

কেএসটি
 

আরও পড়ুন