• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০১৯, ১০:৪৭ এএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১২, ২০১৯, ১০:৪৭ এএম

প্রসূতির মৃত্যু : পালানোর সময় চিকিৎসকসহ ২ জন আটক

প্রসূতির মৃত্যু : পালানোর সময় চিকিৎসকসহ ২ জন আটক

পাবনার চাটমোহরে ইসলামিক হাসপাতাল নামের একটি ক্লিনিকে অপারেশন টেবিলে প্রসূতিকে রেখে পালানোর সময় সোমবার (১১ নভেম্বর) কথিত চিকিৎসকসহ দুইজনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।

পরে প্রসূতি তাছলিমা খাতুনকে সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে গিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও গাফিলতির কারণে মারা গেছেন প্রসূতি বলে জানান চিকিৎসক।

এ ঘটনার পরই হাসপাতাল থেকে পালিয়েছেন ক্লিনিকের মালিক বাবলু হোসেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সোমবার তাছলিমা খাতুনের প্রসব বেদনা উঠলে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য স্বজনরা তাকে পৌর শহরের নারিকেলপাড়া মহল্লায় অবস্থতি ‘চাটমোহর ইসলামিক হাসপাতাল’ নামে ওই ক্লিনিকে ভর্তি করে। রাত সাড়ে আটটার দিকে কথিত সার্জন সাদ্দাম হোসেন নীরব, তার সহকারী আসাদুজ্জামান, ক্লিনিক মালিক আমির হোসেন বাবলু এবং দু’জন নার্স মিলে অস্ত্রোপচার করেন এবং একটি কন্যা সন্তান ভূমিষ্ট হয়। 

চাটমোহর থানার ওসি শেখ নাসীর উদ্দিন বলছেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ডাক্তার ও তার সহকারী আমাদের হেফাজতে রয়েছে। প্রসূতির পক্ষ থেকে মামলা হলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৩ জুলাই  হাসপাতালটি সিলগালা করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারকি হাকিম ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ইকতেখারুল ইসলাম। সনদ দেখাতে না পারায় কথিত সার্জন এই সাদ্দাম হোসেন নীরব, ক্লিনিকের মালিক মালিক বাবলু হোসেন ও ডিএমএফ চিকিৎসক আলহাজ উদ্দিনকে দেড় লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করেন। কিন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের রায়কে বুড়ো আঙ্গুল দেখায়ে পুনরায় ‘ক্লিনিকের ব্যবসা’ চালাচ্ছিলেন বাবলু হোসেন।

কেএসটি

আরও পড়ুন