• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০১৯, ০৭:৩৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১২, ২০১৯, ০৭:৩৬ পিএম

বেয়াইনের ধর্ষণ মামলায় বেয়াই শ্রীঘরে

বেয়াইনের ধর্ষণ মামলায় বেয়াই শ্রীঘরে

নতুন আত্মীয়তার সম্পর্কের বয়স সপ্তাহ পার না হতেই বিয়াইনের করা ধর্ষণ মামলায় শ্রীঘরে গেলেন বেয়াই। নিজের সদ্য বিবাহিত মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে নববেয়াইয়ের (মেয়ের শ্বশুর) নামে থানায় মামলা ঠুকে দিয়েছেন বেয়াইন। ঘটনাটি ঘটেছে পাবনার চাটমোহরের সমাজ করৎকান্দি গ্রামে।

নববধূর ডাক্তারি পরীক্ষা পাবনা সদর হাসপাতালে এবং জবানবন্দি আদালতের বিচারিক হাকিমের মাধ্যমে রেকর্ড করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।

অভিযুক্ত হলেন সমাজ করৎকান্দি গ্রামের কৃষক আয়ুব আলী। বাদী হলেন একই উপজেলার শীতলাই গ্রামের বাসিন্দা মিনহাজ উদ্দিনের স্ত্রী রাঙা খাতুন।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ৬ নভেম্বর রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ তার মেয়েকে স্বামীর ঘরে ধর্ষণ করেন আয়ুব আলী। এর আগে কাজ বাতলে দিয়ে ছেলেকে বাড়ির বাইরে পাঠিয়ে দেন আসামি। পরে বাবা-মাকে ঘটনাটি জানায় ভুক্তভোগী।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ৪ নভেম্বর আয়ুব আলীর একমাত্র ছেলে সালাউদ্দিনের সঙ্গে বিয়ে হয় বাদীর মেয়ের। এরপর বাবার বাড়ি বেড়াতে গিয়ে শ্বশুরের নামে ১০ নভেম্বর থানায় অভিযোগ দিতে যান নববধূ। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ছেলেসহ আয়ুব আলীকে ধরে থানায় নিয়ে যায়।

অসমর্থিত একটি সূত্রের কথায়, সালাউদ্দিনের সাথে সংসার করতে চাচ্ছেন না ওই নারী। বাবার বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার পর শ্বশুরবাড়ি আর ফিরে আসেননি। দেনমোহরের টাকা আদায় করতে এমনটা করা হয়েছে। এলাকাবাসী মনে করছেন, এটা ষড়যন্ত্র।

জানা গেছে, ছেলে ছাড়াও আয়ুব আলীর ঘরে এক মেয়ে আর স্ত্রী আছেন। তার মেয়েটিরও বিয়ে হয়েছে।

ওসি শেখ নাসীর উদ্দিন জানান, আয়ুব আলীকে আসামি করে ধর্ষণের মামলা করেছেন মেয়েটি মা। ১১ নভেম্বর মামলা রেকর্ড হয়েছে। সালাউদ্দিনের নামে অভিযোগ না থাকায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আয়ুব আলীকে ১২ নভেম্বর দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, ১০ নভেম্বর মেয়েটি থানায় এসেছিল অভিযোগ দিতে। অভিযোগ পাওয়ার পর স্বামীসহ শ্বশুরকে থানায় আনা হয়।

এনআই

আরও পড়ুন