• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০১৯, ১১:১১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১৩, ২০১৯, ১১:১১ এএম

অ্যানেসথেসিস্ট নেই, দু’বছর ধরে বন্ধ প্রসূতির অস্ত্রোপচার  

অ্যানেসথেসিস্ট নেই, দু’বছর ধরে বন্ধ প্রসূতির অস্ত্রোপচার  

অ্যানেসথেসিস্ট (অবেদনবিদ) চিকিৎসকের পদ শূন্য থাকায় দুই বছর ধরে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি প্রসূতি সেবা বিভাগের (ইওসি) অস্ত্রোপচার বন্ধ রয়েছে। এতে করে উপজেলার প্রসূতি মায়েদের অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে জেলা শহরের হাসপাতাল ও ক্লিনিকে গিয়ে সেবা নিতে হচ্ছে।
এ ক্ষেত্রে বিত্তবানদের সমস্যা না হলেও বিপাকে পড়েছে দরিদ্র প্রসূতি রোগী ও তাদের স্বজনরা।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, গত ২৬ মাসে জরুরি প্রসূতি সেবা বিভাগে মাত্র একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে। সেটিও সম্ভব হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত একজন অ্যানেসথেসিস্টকে অনুরোধ করে ডেকে আনার পর।

বিদেশি দাতা সংস্থার অর্থায়নে ২০০৩ সালে ৪ আগস্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি প্রসূতিসেবা কার্যক্রম (ইওসি) চালু করা হয়। তখন কমপ্লেক্সের দুজন চিকিৎসককে শল্য (সার্জিক্যাল) ও অ্যানেসথেসিয়া বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিদেশি সংস্থার অর্থায়নে প্রসূতিসেবা কার্যক্রমটি চালু থাকে। পরে সেটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রসূতি বিভাগের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, প্রসূতি সেবা (ইওসি) দিতে প্রথম শল্যবিদ হিসেবে কাজ করেছেন তৎকালীন চিকিৎসক ডা. তাজুল ইসলাম খান। তিনি পদোন্নতি পেয়ে এখন অন্যত্র কর্মরত। অ্যানেসথেসিস্ট পদে চিকিৎসক ছিলেন ডা. আব্দুল মোতালেব। ২০১৪ সালে তিনিও অবসরে চলে যান।

২০১৬ সালে গাইনি বিভাগে পরামর্শক (কনসালটেন্ট) হিসেবে ডা. দেলোয়ারা পারভীন এখানে যোগ দেন। এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদিন খান প্রসূতি বিভাগে অস্ত্রোপচার কার্যক্রম চালু করার উদ্যোগ নেন। এর অংশ হিসেবে অবসরকালীন ছুটি ভোগরত চিকিৎসক ডা. আব্দুল মোতালেবকে অ্যানেসথেসিস্ট হিসেবে চুক্তিভিত্তিক রাখা হয়। আর শল্য চিকিৎসকের কাজ করতেন কনসালটেন্ট ডা. দেলোয়ারা পারভীন।

২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে অ্যানেসথেসিস্ট পদে যোগদান করেন ডা. জেরিন আবদুল্লাহ। কিন্তু যোগদানের পরপরই তিনি উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিতে চলে যান। প্রশিক্ষণ শেষে ফেরার পর ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি অন্যত্র বদলি হয়ে চলে যান। এরপর থেকে প্রসূতি বিভাগে অস্ত্রোপচার কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।

এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন তিনি। ৩৯তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চিকিৎসকদের পোস্টিং শুরু হলে সমস্যাটি থাকবে না। তখন নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য একজন অ্যানেসথেসিস্ট পাওয়া যাবে।

কেএসটি

আরও পড়ুন