• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০১৯, ০২:২৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১৩, ২০১৯, ০২:২৯ পিএম

বুলবুলের আঘাতে মোরেলগঞ্জে কুল চাষিদের স্বপ্ন ধুলিসাৎ 

বুলবুলের আঘাতে মোরেলগঞ্জে কুল চাষিদের স্বপ্ন ধুলিসাৎ 

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে প্রায় ৩৬ একর জমির আপেল কুল ক্ষেত সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়ে গেছে। আর এতে করে পথে বসার উপক্রম হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত সাত চাষি পরিবার। উপজেলার বারইখালী ইউনিয়নের শেখপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম হাওলাদার, নজরুল ইসলাম বেপারী ও একই ইউনিয়নের পায়লাতলা গ্রামের নাসির হাওলাদার জানান, তারা ২১ একর জমিতে ২০০৭ সাল থেকে  আপেল কুলের চাষাবাদ করে আসছেন। 

গত বছরের ফাল্গুন-চৈত্র মাসে প্রায় ৯শ আপেল কুল গাছের ছাঁটাই করেন এবং ৭ মাস ধরে পরিচর্যা করে ফলনের উপযোগী করে তোলেন। তাদের প্রতিটি গাছে হাজার হাজার কুল ধরেছিল। 

তারা জানান, চলতি বছরের পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময়ে ফল পরিপক্ক হয়ে বাজারজাত করার উপযোগী হলে পরিবার পরিজন নিয়ে একটু সুখ স্বাচ্ছন্দ্য ভোগ করবে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রায় ২ ঘণ্টার তাণ্ডবে তাদের সে স্বপ্নসাধ ধুলিসাৎ করে দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে সব গাছের ফল ঝড়ে গিয়ে আশা আকাঙ্ক্ষা স্বপ্নপূরণে চরম আঘাত হেনেছে। 

ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ওই তিন চাষির প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তারা। 

এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে একই ইউনিয়নের পায়তলা গ্রামের চাষি ফারুক ফরাজী ৬ একর জমিতে আপেল কুলের চাষ করে ২ লাখ টাকার, দক্ষিণ সুতালড়ী গ্রামের মিজান শিকারীর ২ একর জমিতে ১ লাখ টাকার, শেখপাড়া গ্রামের হেলালুজ্জামান খোকন ৭ একর জমিতে ৫ লাখ টাকা ও রোকন তালুকদারের ১০ একর জমিতে আপেল কুল চাষ করে সাড়ে ৩ লাখ টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। 

বারইখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান লাল জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে তার ইউনিয়নে প্রতিটি সেক্টরেই ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে হাজার হাজার গাছপালা, নদী তীরবর্তী কাঁচা ঘরবাড়ি, মৎস্য ঘের, রাস্তাঘাট ও ফসলি ক্ষেতের ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। 

কেএসটি

আরও পড়ুন