• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০১৯, ০২:৫৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১৩, ২০১৯, ০২:৫৩ পিএম

একই পরিবারের ৪ প্রতিবন্ধীর বাড়িতে কার্ড নিয়ে ইউএনও

একই পরিবারের ৪ প্রতিবন্ধীর বাড়িতে কার্ড নিয়ে ইউএনও

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার রাধাকানাই ইউনিয়নের চৌরঙ্গীপাড়ের একই পরিবারে চার প্রতিবন্ধীর বাড়িতে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড নিজ হাতে পৌঁছে দিয়েছেন ইউএনও আশরাফুল ছিদ্দিক ও সমাজসেবা অফিসার মো. এহছানুল হক। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে তাদের বাড়িতে গিয়ে কার্ড দিয়ে আসেন তারা। কার্ড দিয়ে আসার পথে ভূমি সহকারীকে সাথে নিয়ে বাড়ি করার উপযোগী প্রস্তাবিত ২০ শতাংশ জমি সরেজমিনে পরিদর্শনও করেন তারা।

উপজেলার রাধাকানাই ইউনিয়ন চৌরঙ্গীপাড়ার ইব্রাহীমের ৫ মেয়ের মধ্যে ৪ জনই প্রতিবন্ধী। বিউটি (২৫), তাপসী (১৫) প্রতিবন্ধীর কার্ড পেলেও মিনা পারভীন (৩৫) ও শাবনুর (১১) কোন কার্ড পাননি। এ নিয়ে দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়ে প্রশাসনের। মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে বাকি দুজন মিনা পারভীন, শাবনুর ও তাদের নানী মোছা. কুলছুম বেওয়া কার্ড পেলেন।

রাধাকানাই মৌজায় বাগান এলাকায় (প্রস্তাবিত স্টেডিয়াম) প্রবেশ পথে ঐ প্রতিবন্ধী পরিবারের বাড়ি করার জন্য ২০ শতক খাস জমি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে ইউএনও সরকারি বিভিন্ন জমি ও রাস্তার খোঁজ খবর নেন। এ সময় তিনি আরও একটি জায়গাও পরিদর্শন করেন, তার চেয়ে বাগান এলাকার জায়গাটা ভালো বলে মত দেন তিনি।
চার প্রতিবন্ধী লালন-পালনে নানী কুলছুম বেওয়ার হাতে বয়স্ক ভাতার কার্ড তুলে দেন ইউএনও।

সমাজসেবা অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবন্ধী নিয়ে রিপোর্ট ও সরেজমিনে প্রতিবেদন পাঠানোর পর জাতীয় সমাজ কল্যাণ পরিষদ থেকে অনুদানের ব্যবস্থা হচ্ছে। তাতে ঐ পরিবারের একটি স্থায়ী আয়ের উৎসও খোঁজছেন ইউএনও। সব মিলিয়ে অসহায় ইব্রাহীমের পরিবারে আলোর হাতছানি দিচ্ছে।

উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. এহছানুল হক বলেন, ঐ প্রতিবন্ধী পরিবারের জন্য তার নানী কুলছুম বেওয়ার অনেক অবদান আছে। তাই আমরা কুলছুম বেওয়াকে একটি বিধবা ভাতার কার্ড প্রদান করেছি। বুড়ো বয়সে সামান্য সহযোগিতাই অনেক কাজে আসতে পারে।

ইউএনও আশরাফুল ছিদ্দিক বলেন, প্রতিবন্ধী পরিবারের জন্য আমরা চেষ্টা করছি কিছু করার।

কেএসটি

আরও পড়ুন