• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০১৯, ০৩:২৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১৩, ২০১৯, ০৩:২৮ পিএম

মেঘনার চরে আটকেপড়া লঞ্চের সাড়ে ৫শ যাত্রী ৯ ঘণ্টা পর উদ্ধার

মেঘনার চরে আটকেপড়া লঞ্চের সাড়ে ৫শ যাত্রী ৯ ঘণ্টা পর উদ্ধার

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার মেঘনা নদীর চরে আটকেপড়া ঢাকাগামী বরগুনা-ঢাকা নৌরুটের এমভি শাহরুখ-২ লঞ্চের প্রায় সাড়ে ৫শ যাত্রীকে ৯ ঘণ্টা পরে উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা থেকে আসা একই কোম্পানীর পূবালী-১ লঞ্চে করে তাদেরকে ঢাকার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়।

বিআইডব্লিউটিএর বরিশাল নৌবন্দর কর্মকর্তা (যুগ্ম পরিচালক) এবং নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আটকেপড়া লঞ্চ কোম্পানির ব্যবস্থাপক এনায়েত হোসেন জানান, মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় বরগুনা থেকে প্রায় সাড়ে ৫শ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেলে যায় এমভি শাহরুখ-২। রাত ২টার দিকে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার মেঘনা নদীর কালিগঞ্জ এলাকার ভোলারচর সংলগ্নে লঞ্চটি হঠাৎ করেই আটকে যায়। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরেও লঞ্চটি চর থেকে নামানো সম্ভব হয়নি। এ কারণে ঢাকা থেকে কোম্পানির পূবালী-১ নামক অপর একটি লঞ্চ এসে বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে লঞ্চের যাত্রীদের উদ্ধার করে পুনরায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এমনকি দুপুর পৌনে ৩টার দিকে লঞ্চটি ঢাকা সদরঘাটে পৌঁছেছে বলেও জানিয়েছে এনায়েত হোসেন।

লঞ্চটির মালিক মাসুম খান অভিযোগ করেছেন, ‘বরিশাল-ঢাকা নৌরুটের কালিগঞ্জ চ্যানেল নৌযান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সেখান থেকে কোন লঞ্চই স্বাভাবিকভাবে চলতে পারছে না। লঞ্চগুলো মাঠি ঘেসে চলছে হচ্ছে। কিন্তু এখানে ড্রেজিংয়ের কোন উদ্যোগ নেই।

তবে লঞ্চটি চরে আটকে যাওয়ার জন্য মাস্টারকেই দায়ী করছেন যাত্রীরা। তারা বলেন, ‘মাস্টারের অনভিজ্ঞতা এবং অসাবধানতার কারণেই লঞ্চটি চরে আটকে যায়। এতে যাত্রীদের ভোগান্তিও হয়েছে সীমাহীন।

বিআইডব্লিউটিএ’র বরিশাল নৌ বন্দর কর্মকর্তা (যুগ্ম-পরিচালক) এবং নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার বলেন, যে লঞ্চটি আটকা পেড়েছে সেটি আমাদের রুটের লঞ্চ নয়। তার পরেও খবর পেয়ে লঞ্চ মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে অন্য লঞ্চের মাধ্যমে যাত্রীদের ঢাকায় পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।


 

আরও পড়ুন