• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০১৯, ০৮:৪১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১৪, ২০১৯, ০৮:৪১ এএম

সিরাজদিখানে শব্দ দূষণে ভোগান্তি চরমে

সিরাজদিখানে শব্দ দূষণে ভোগান্তি চরমে

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার সর্বত্র এলাকাজুড়ে ইজিবাইক ও ব্যাটারি চালিত রিকশার যন্ত্রণাদায়ক বিকট শব্দের হর্নের অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন হাট-বাজারসহ রাস্তায় চলাচলরত লোকজন। দিনের পর দিন শব্দ দূষণে ভোগান্তি পৌঁছেছে চরমে। প্রশাসন কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষেরা। ২০১৩ সালে যত্রতত্র গাড়ি পাকিং ও হাইড্রোলিক হর্ন বন্ধে নির্দেশনা থাকলেও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার মাত্রারিক্ত শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে উপজেলার বিশাল জনগোষ্ঠী। 

ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালকরা অকারণেই শুধু শুধু হর্ন বাজিয়ে চলছে অহরহ। এতে রাস্তা ঘাটে চলাচল করা মানুষের কান ও মাথা ধরে যাওয়ার মত অবস্থা ঘটছে। অটোরিকশার হর্ন কম বাজানোর জন্য দাবি জানিয়েছেন উপজেলাবাসী।

জানা গেছে, উপজেলায় প্রায় ছয় শতাধিক ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা রয়েছে। বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, সিরাজদিখান বাজার, উপজেলা মোড়, নিমতলা, ইছাপুরা চৌরাস্তা, মালখানগর চৌরাস্তা, তালতলা বাজার, বালুচর বাজার এই রাস্তাগুলোতে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় মোটর সাইকেলের মত হর্ন লাগিয়ে দিব্বি শব্দ দূষণ করে চলছে। এর ফলে রাস্তায় বিকট শব্দ হচ্ছে। চালকরা শুধু শুধু ইচ্ছে করেই বেশি বেশি হর্ন বাজিয়ে চলছে। এতে একদিকে হর্নের শব্দে যাত্রী ও সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। অপরদিকে এলাকায় শব্দ দূষণ বেড়েই চলছে। 

সিরাজদিখান বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, চালকেরা এত জোরে হর্ন চেপে ধরে অটোরিকশা চালায় যেন গাড়ি চালাচ্ছে। তাদের অনুরোধ করেও কোন লাভ হয় না। অটোরিকশা যন্ত্রণায় আর পারি না কারণ ওরা এত হর্ন বাজায়। কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার মত। অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন জাহাঙ্গীর মিয়া। 
তিনি জানান, অটোরিকশার গতি বেশি এ জন্য হর্ন বাজাতে হয়। হর্নের শব্দ দূষণ বেশি হয় তা জেনেও চালানোর সুবির্ধাথে রিকশায় হর্ন বাজাতে হয়।

অটোরিকশা চালক ফজলু মিয়া বলেন, বেলের শব্দে মানুষ সরে না। এজন্যই হর্ন বাজাইতে হয়। বেশি শব্দে ক্ষতি বেশি জানি। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশফিকুন নাহার এ প্রসঙ্গে বলেন, অটোরিকশাগুলোর বিধিমালা না থাকার কারণে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু প্রতিনিয়ত আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি যেভাবেই হোক শব্দ দূষণ স্বাভাবিক রাখার জন্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কেএসটি

আরও পড়ুন