• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০১৯, ০৬:২২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১৪, ২০১৯, ০৬:৫৮ পিএম

কেজি নয়, পিস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ

কেজি নয়, পিস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ
পৌর শহরের হল রোড থেকে এক শ্রমিক এক পিস পেঁয়াজ কিনছেন  -  ছবি : জাগরণ

লক্ষ্মীপুরে কেজি নয়, পিস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। আর প্রতিটি পেঁয়াজের দাম পড়ছে আকারভেদে ২০ থেকে ২৫ টাকা! লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম মাত্র এক রাতের ব্যবধানে ৮০ টাকা বেড়েছে। দাম আরো বাড়ার শঙ্কায় রয়েছেন ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায়ও ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। সেই পেঁয়াজের কেজি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ২০০ থেকে ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি ১৯০ টাকা। নতুন পেঁয়াজ আসার আগে দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানান পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর, রায়পুরসহ জেলার কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে জানা যায়, বুধবার পর্যন্ত পাইকারি আড়তগুলোতে দেশি পেঁয়াজ ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বৃহস্পতিবার দাম বেড়ে ১৯০ টাকা হয়েছে। সকালে খুচরা ব্যবসায়ীরা পাইকারি আড়তগুলো থেকে মণপ্রতি ৪০০ টাকা বেশি দরে কিনে নিয়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ খুচরা বিক্রি করছেন ২০০ থেকে ২১০ টাকায়।

লক্ষ্মীপুরের একাধিক হাটবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্রামের বাজারগুলোতে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো এক পিস পেঁয়াজ কিনছেন ২০ থেকে ২৫ টাকায়। সেখানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকায়। এতে ক্ষোভ বিরাজ করছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। এক রাতে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কেউ কেউ ২৫০ গ্রাম থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত পেঁয়াজ ক্রয় করছেন। আবার কাউকে কাউকে মাত্র এক পিস পেঁয়াজ কিনতেও দেখা গেছে।

রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরীন চৌধুরী জানান, পেঁয়াজের দাম নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজারগুলোতে মনিটর করা হচ্ছে। পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তিনি মনে করেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এনআই

আরও পড়ুন