পাবনার চাটমোহরে পুকুরের পানি থেকে ভবন নির্মাণশ্রমিক সোহাগ হোসেনের ফুলে-ফেঁপে ওঠা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে চকউথুলি গ্রামের মেহের উদ্দিনের পুকুর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, পুকুরের মাঝামাঝি পানিতে চিত অবস্থায় ভাসছিল লাশটি। এ খবর জানাজানি হলে লাশ দেখতে পুকুরপাড়ে ভিড় জমায় স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের মধ্যে কেউ একজন খবর দেন পুলিশকে।
কীভাবে ঘটনা ঘটল, কারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারছে না পুলিশ। সোহাগের নিখোঁজেরও কোনো বার্তা নেই পুলিশের হাতে।
জানা গেছে, সোহাগের বাবার নাম শওকত আলী। নানার বাড়িতে থাকতেন তিনি। উপজেলার চকউথুলি গ্রামের বাসিন্দা উজির হোসেন তার নানা। নানা-নানি বেঁচে নেই। সোহাগের মা স্বপ্না খাতুনের প্রথম সংসার টেকেনি। পরে দ্বিতীয়বার বিয়ে হয়। পৌর এলাকার নারিকেলপাড়া এলাকায় স্বামীর সঙ্গে বসবাস করেন স্বপ্না খাতুন।
চাটমোহর থানার ওসি শেখ নাসীর উদ্দিন বলেন, সোহাগের বয়স আনুমানিক ১৭ বছর। লাশে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। কয়েক দিন আগে তাকে হত্যা করা হতে পারে। আপাতত কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। ক্লু উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান স্বপ্না খাতুন। তার গগনবিদারী বিলাপে চোখের জল ফেলছেন এলাকাবাসীও। লাশ পাওয়ার পর থেকেই এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে নানা প্রশ্ন।
এনআই