• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০১৯, ০৮:৪৭ এএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১৬, ২০১৯, ০৯:১৯ এএম

বুলবুলে নষ্ট ৩০০ কোটি টাকার কাঁচা ইট

বুলবুলে নষ্ট ৩০০ কোটি টাকার কাঁচা ইট

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে বাগেরহাটসহ ১০ জেলায় ইট ভাটার প্রায় ৩শ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। অগ্রহায়ণের এ বৃষ্টিতে ৯৫০টি ইটভাটার কাঁচা ইটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

বাগেরহাট ইট ভাটা মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট মোট ২৩০টি ইটভাটা রয়েছে। হঠাৎ করে বৃষ্টিপাতের ফলে প্রতিটি ইট ভাটার গড়ে ২৫ থেকে ৩০ লাখ কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে। মাঠে শুকাতে দেয়া ওইসব ইটগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে পুনরায় সেগুলোকে মাঠ থেকে তুলে জমা করতে হবে। পরে মাঠ পুরোপুরি শুকিয়ে পুনরায় ইট তৈরি করতে হবে। এতে করে লাগবে বাড়তি শ্রমিক খরচ। ইটগুলো তৈরি, ভিজে যাওয়ায় মাঠ থেকে অপসারণ ও নতুন করে ইট তৈরির কারণে প্রতিটি ইটভাটায় গড়ে প্রায় ২১ লাখ টাকার ক্ষতি হবে। এই হিসেবে বাগেরহাট জেলায় ৯৫০টি ইটভাটায় ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩শ কোটি টাকা।

সরেজমিনে ইট ভাটার মালিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এক হাজার ইট তৈরিতে খরচ হয় প্রায় ৪৫০ টাকা এবং এক লাখ ইট তৈরিতে খরচ হয় প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। বেশ কয়েক দিন ধরে ভাটা মালিকেরা কাঁচা ইট তৈরি করে রোদে শুকিয়ে তা পুড়িয়ে পাকা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ৩ দিনের বৃষ্টির কারণে পানিতে ভিজে সদ্য তৈরি কাঁচা ইট ভেঙে নষ্ট হয়ে মাটির সাথে মিশে গেছে। এতে ৯৫০টি ইটভাটা মালিকের প্রায় ৫শ কোটি কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে।

রবিন, মোজাম্মেল হক, বাবর আলী জানান, বৃষ্টির আগে এখানে প্রায় ৩০ লাখ কাঁচা ইট ছিল। হঠাৎ করে বৃষ্টিপাতের ফলে এই ভাটার সব ইট ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। এসব ইট মাঠ থেকে অপসারণ করে পুনরায় ইট তৈরি করতে হবে। এতে এই ভাটার প্রায় ৩০ লাখ টাকার মত লোকসান গুনতে হবে।

শুধু তাই নয় বৃষ্টির কারণে নতুন করে ইটভাটাগুলোকে উৎপাদনে যেতে লাগবে আরও এক সপ্তাহের অধিক সময়। ফলে ওই সময়টিতে যে পরিমাণ ইট উৎপাদিত হতো সেটিও এখন লোকসানের খাতায় যোগ করতে হবে বলে তিনি জানান।

বাবুল শেখ জানালেন, হাড়ভাঙ্গা খাটুনি দিয়ে যে ইটগুলো তৈরি করা হয়েছিল তা সম্পূর্ণ ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। কাজ বন্ধ থাকায় কোন বেতন পাননি শ্রমিকরা। মাঠের পানি শুকালে ভিজে যাওয়া ইটগুলো মাঠ থেকে অপসারণ করা হবে। এই নষ্ট ইটগুলো সরাতে যতদিন সময় লাগবে ততদিন পর্যন্ত তারা কোন বেতন পাবেন না। কাজ করতে হবে পেটে-ভাতে।

শ্রমিক বাবুল শেখ, আবু জাফর, জব্বার জানান, পেটে ভাতেই কাজ করতে হবে। তাছাড়া কোন উপায় নেই। আমাদের যেমন ক্ষতি ঠিক তেমনি ক্ষতি মালিকদেরও। 


কেএসটি

আরও পড়ুন