• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০১৯, ১০:৫০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১৬, ২০১৯, ১০:৫০ এএম

১০ বছর ধরে বাক্সবন্দি ল্যাবের যন্ত্রপাতি 

১০ বছর ধরে বাক্সবন্দি ল্যাবের যন্ত্রপাতি 

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও টেকনিশিয়ান না থাকায় ল্যাবের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে ল্যাবের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি প্রায় ১০ বছর ধরে বাক্সবন্দি অবস্থায় পড়ে আছে। এদিকে জনবল-সংকটের কারণে হাসপাতালের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। 

রামগতি উপজেলার উত্তরাঞ্চলের ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে ২০০৬ সালে কমলনগর উপজেলা গঠন করা হয়। সে সময় রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কমলনগর উপজেলার মধ্যে পড়ে। এ অবস্থায় ২০০৯ সালে রামগতি উপজেলা সদর চর আলেকজান্ডারে ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ৩১ শয্যার রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম শুরু হয়।

রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল রহিম বলেন, চর আলেকজান্ডারে স্থানান্তরের সময় (২০০৯ সাল) থেকেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে জনবলের সংকট চলছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও টেকনিশিয়ানের অভাবে ল্যাব কার্যক্রম চালু করা যায়নি। ল্যাবের যন্ত্রপাতি অব্যবহৃত পড়ে আছে। প্রায় ১০ বছর আগে এক্স-রে, ইসিজি ও আলট্রাসনোগ্রাফি যন্ত্র সরবরাহ করা হলেও এখনো বাক্সই (প্যাকেট) খোলা হয়নি। 

তিনি জানান, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ৪টি, নার্সের ৫টি, হিসাবরক্ষক, কোষাধ্যক্ষসহ অফিস সহকারীর ৫টি, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর ১২টি ও ফার্মাসিস্টের ১টি পদ শূন্য। এ ছাড়া আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও), রেডিওগ্রাফি টেকনোলজিস্ট, ল্যাব টেকনোলজিস্ট ও যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ সহকারীর পদও দীর্ঘদিন ধরে শূন্য আছে। জনবল-সংকটের কারণে হাসপাতালের স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

গত শনিবার রাতে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে আহত সুরুজ মিয়াসহ কয়েকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। তারা জানান, হাতে ও মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। চিকিৎসক হাতের এক্স-রে করানোর পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু হাসপাতালে এক্স-রে করানোর সুযোগ নেই। এ কারণে চিকিৎসা না নিয়েই তাকে হাসপাতাল ছাড়তে হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা সদরের একজন জনপ্রতিনিধি বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগনির্ণয়ের সুবিধা না থাকায় রোগীরা চিকিৎসার জন্য এলাকার বাইরে যেতে বাধ্য হচ্ছে।  চিকিৎসক সংকটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এই উপজেলার চরাঞ্চলের মানুষ।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মো. আবদুর রহিম জানান, হাসপাতালের জনবল সংকটসহ নানান সমস্যা রয়েছে। ল্যাবের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। একাধিকবার হাসপাতালের নানান সমস্যা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। 

লক্ষ্মীপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল গফ্ফার জানান, একাধিকবার হাসপাতালের ডাক্তার-নার্স সংকটসহ নানান সমস্যা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। 

কেএসটি
 

আরও পড়ুন