• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০১৯, ০২:০৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১৭, ২০১৯, ০২:০৫ পিএম

ভাঙা চালা ঘরে চলছে পাঠদান

ভাঙা চালা ঘরে চলছে পাঠদান

১৯৮৬ সালে নির্মিত টিনশেড চালায় মরিচা ধরেছে। মরিচা ধরা এই টিনশেড চালা ঘরের তিনটি শ্রেণিকক্ষ বিভক্ত করা হয়েছে ফ্লাই বোর্ডে। বিভক্ত করা এসব শ্রেণি কক্ষেই কষ্টে চলে পাঠদান। টিনের চালা ভেদ করে রোদ পরে, আবার বৃষ্টি আসলে পানি। নাটোরের গুরুদাসপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওই নাজুক অবস্থা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয়দের সহযোগিতায় ১৯৬৩ সালে গুরুদাসপুর থানা সদরে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন তৎকালীন থানা শিক্ষা কর্মকর্তা খগেন্দ্র নাথ বর্মন। প্রতিষ্ঠার পর ১৯৮৬ সালে প্রথম একটি টিনশেড চালা ঘর নির্মিত হয়। আশপাশের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় হওয়ায় তখন থেকেই শিক্ষার্থী সংখ্যা চোখে পরার মতো। দিন বদলের সাথে সাথে বাড়তে শিক্ষার্থীর চাপ। সেই কথা বিবেচনা করে ২০০০ সালের পর একটি একতলা এবং একটি দোতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। কিন্তু বিদ্যালয়ের ফলাফল ভালো এবং মডেল বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হওয়ায় শিক্ষার্থী প্রতিবছরই উল্লেখ যোগ্য হারে বাড়ছে। যে ভবন আছে তাতে জায়গা সংকুলান হচ্ছে না। ফলে পুরানো টিনশেড চালা ঘরেই ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করতে হচ্ছে।

বিদ্যালয় সূত্র জানায়, বিদ্যালয়টিতে বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যা ৫৭০। ১০টি শাখায় তাদের পাঠদান করতে হয়। মডেল এই বিদ্যালয় ফলাফলে জেলা এবং উপজেলা সেরা হয়েছে বহু বার। তাছাড়া প্রতিবছরই বিদ্যালয়টি শতভাগ পাসের গৌরব অর্জন করে। অথচ বিদ্যালয়টিতে অবকাঠামগত সুবিধা দেয়া হয় না। 

চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আনিক ও সজিব জানায়, টিনের চালা ভেদ করে রোদ পরে, আবার বৃষ্টি আসলে পানি। তাছাড়া অনেক ছাত্র-ছাত্রী হওয়ায় ঠাসাঠাসি করে বসতে হয়। এত কষ্টে ক্লাস করা কঠিন হয়ে পরে।

সহকারী শিক্ষক আফরোজা সুলতানা ও ইসরাত জাহান জানান, শুধু ভালো ফলাফলেই নয় সংস্কৃতিতেও সেরা। অথচ বিদ্যালয়টিতে অবকাঠামগত সুবিধা নেই। এই দৈনতার ফলে একসঙ্গে অনেক শিশু নিয়ে পাঠদান করতে হয়। এটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার।

বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল জব্বার মন্ডল ও প্রধান শিক্ষক গোলাম মর্তুজা আলী বলেন, তাদের এই বিদ্যালয়ে অবকাঠামগত সুবিধা বাড়ালে ফলাফলে আরো ভালো করবে।

প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম রফিকুল ইসলাম বলেন, অবকাঠামোগত অসুবিধা বিবেচনা করে এরইমধ্যেই দ্বিতল ভবনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

কেএসটি

আরও পড়ুন