• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০১৯, ০৭:২৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১৭, ২০১৯, ০৭:২৬ পিএম

সুনামগঞ্জে লাগামের বাইরে পেঁয়াজ

সুনামগঞ্জে লাগামের বাইরে পেঁয়াজ

সুনামগঞ্জের ১১টি উপজেলার বাজার গুলোতে পেয়াঁজের ঝাঁঝ কমছেই না বরং পাগলা ঘোড়ার মতো দৌঁড়াচ্ছে। লাগাম যে টেনে ধরার মত কেউ নেই। জেলার পাইকারি ও খুচরা বাজারে মাত্রাতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। সুযোগ বুঝে অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট আর বাজার মনিটরিং কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মতো দাম রাখছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। ফলে পেঁয়াজ এখন ক্রেতাদের হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।

এভাবে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ভোগান্তি বাড়তে থাকবে নিম্ন আয়ের ও দিন মজুর পরিবার গুলোতে। এছাড়াও পেঁয়াজের বাজার এখন সেঞ্চুরি ছাড়িছে শুধু তাই নয় এভাবে বাড়তে থাকলে তিন ডাবল সেঞ্চুরি করবে বলে ধারণা অনেকের। 

জেলা শহর ও বিভিন্ন উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানায়, জেলার তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, বিশম্ভরপুর, দিরাই, শাল্লাসহ ১১টি উপজেলায় পেঁয়াজের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির চিত্র। শহরের বিভিন্ন স্থানে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২৩০-২৪০ টাকায়। কোনো কোনো দোকানে আরো বেশি দামে বিক্রি করছে। আবার পেঁয়াজ নেই অনেক দোকানীর কাছে। 

পেঁয়াজের লাগাম কিছুতেই টানা যাচ্ছে না। নিত্যপণ্যে পেঁয়াজসহ অন্যান্য দ্রব্য মূল্যের দাম লাগামহীন হওয়ার কারণে ক্রেতারা পড়েছেন  চরম বিপাকে। গত সেপ্টম্বের মাসের পূর্বে পেয়াজের ঝাঁঝ ছিল মাত্র ৩০-৩৫ টাকার মধ্যে হঠাৎ করেই এর সংকট দেখিয়ে সেপ্টেম্বর মাসে দাম বেড়ে যায় ৮০-৯০ টাকা। এরপর থেমে নেই। দাম বেড়েই চলছে। বর্তমান বাজারে এক কেজি আপেলের মূল্য ১১০-১২০টাকা। 

অসাধু ব্যবসায়ীরা শুধু পেঁয়াজই নয় বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম তাদের ইচ্ছেমতো বাড়িয়ে থাকে। দ্রুত পেঁয়াজের দামসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে বাজার মনিটরিং তৎপরতা বাড়ানো বিশেষ প্রয়োজন বলে মনে করেন জেলার সচেতন মহল।

তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন দোকানীদের সঙ্গে কথা বললে জানা যায়, সংকট থাকায় দাম বেড়েছে। আমরা ভৈরব থেকে পেঁয়াজ এনে বিক্রি করি। সেখানে দাম বাড়ায় আমরাও দামে বিক্রি করছি। 

বাজার গুলোতে নিয়মিত ভ্রামমাণ্য আদালত পরিচালনা করলে এমটা হত না বলে জানান, শফিক মিয়া, জাহিদসহ ভুক্তভোগী ক্রেতারা। তারা আরো জানান, দোকানগুলোতে পেঁয়াজের মূল্য তালিকায় লেখা নেই। 

সম্রাট মিয়া, অরুনসহ পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। সুনামগঞ্জ জেলা শহরে পেঁয়াজ প্রতিদিন ঢাকা থেকে আসে তাই বিক্রি হয়। ঢাকায় পেঁয়াজের দাম বেশি। ফলে তাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

দিনমজুর শ্রমিক জাহিদ মিয়া জানান, দিনে আয় করি ৩০০-৩৫০ টাকা। পেয়াজের দাম যদি হয় ২৩০-২৪০টাকা তাহলে কীভাবে হয়? এক কেজি চালের দাম কত? শুধু কি পেঁয়াজ দাম অন্যান্য দ্রব্যের দামও অনেক বেশি ফলে জীবন চলা বড় দায় হয়ে পরেছে। যাদের টাকা আছে তাদের জন্য কোনো সমস্যা নাই। আমাদের কী হবে? 

সুনামগঞ্জ জেলা মার্কেটিং অফিসার মো. আব্দুল খালেক বলেন, পেঁয়াজের মূল্য বাড়িয়ে রাখার বিষয়টি মনিটরিং করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।

টিএফ
 

আরও পড়ুন