• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০১৯, ১১:১০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১৯, ২০১৯, ১১:১০ এএম

খুলনায় ২য় দিনের মতো সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ

খুলনায় ২য় দিনের মতো সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ

নতুন সড়ক আইন সংশোধন না করার প্রতিবাদে খুলনায় দ্বিতীয় দিনের মতো বাস চালকরা কর্মবিরতি পালন করছে। যার কারণে খুলনা থেকে রাজধানী ঢাকাসহ আভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এদিকে, খুলনা থেকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় খুলনা রেল স্টেশনে যাত্রীদের তীব্র চাপ বেড়েছে। অনেক যাত্রী টিকিট না পেয়েও জোর করে ট্রেনে উঠছেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে খুলনার সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার কোনো যানবাহন ছেড়ে যায়নি। এ সুযোগে মাহিন্দ্র, মিনি পিকআপ, মাইক্রোবাসসহ ছোট গাড়িগুলোতে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে হচ্ছে।

আন্দোলনরত বাস চালকরা বলছেন, নতুন আইনে দুর্ঘটনার জন্য চালকদেরই দায় নিতে হচ্ছে। পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে। চালকরা ইচ্ছা করে দুর্ঘটনা ঘটায় না। তারপরও তাদের শাস্তি হবে। এ আইন মেনে নেওয়া যায় না। যার প্রতিবাদে চালকরা কর্মবিরতি পালন করছে।

এদিকে, মঙ্গলবার সকালে খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল ও রয়্যালের মোড়ে বাসগুলো সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। যাত্রীরা এসে বাস চলাচল সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছেন। কিন্তু বাস চলাচল কখন শুরু হবে, কেউ তা বলতে পারছেন না।

মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তি জানান, তার স্বজনরা ওমরা হজের জন্য ঢাকায় যাবেন। যে কারণে তারা রয়্যালের মোড় বাস কাউন্টারে এসে অপেক্ষা করছেন। কখন বাস ছাড়বে। কিন্তু বাস ছাড়ছে না। এখন কিভাবে যাবেন তাই নিয়ে ভীষণ চিন্তিত তারা।

খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম বেবী বলেন, নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকরের প্রতিবাদে শ্রমিকরা দ্বিতীয় দিনের মতো বাস চালাচ্ছে না। তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছে। আইন সংশোধন না করা পর্যন্ত শ্রমিকরা ধর্মঘট চালিয়ে যাবেন।

সোমবার রাতে কিছু গাড়ি খুলনা থেকে ছেড়েছে আবার খুলনায় ঢুকেছে এমন প্রশ্নের উত্তরে বেবী বলেন, সোমবার ৯০ ভাগ বাস চলাচল বন্ধ ছিল। কিন্তু আজকে (মঙ্গলবার) শতভাগ বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস ও কোচ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন সোনা বলেন, খুলনা থেকে কোনো রুটেই বাস চলাচল করছে না। সকল রুটেই বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খুলনার এক পরিবহন মালিক বলেন, শ্রমিকদের এ ধর্মঘটের সঙ্গে আমরা শতভাগ একাত্মতা প্রকাশ করেছি। কেননা কোন চালক ইচ্ছা করে দুর্ঘটনা ঘটায় না। দুর্ঘটনা ঘটলে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে। এত জরিমানা দেওয়ার মতো টাকা কোনো চালকের নেই। ৫-৭ দিন কাজ না থাকলে যে চালকদের ঘরে চুলা জ্বলে না। তাদের কাছে এত টাকা জরিমানা হাস্যকর।

এদিকে, খুলনা থেকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় খুলনা রেল স্টেশনে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। অনেক যাত্রী টিকিট না পেয়েও জোর করে ট্রেনে উঠছেন। ট্রেনের একজন চেকার বলেন, ভাই যাত্রীদের কাছে টিকিট না থাকলেও ভিড়ের কারণে আমাদের কিছুই করার নেই।

কেএসটি

আরও পড়ুন