• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০১৯, ০৪:০৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১৯, ২০১৯, ০৪:০৭ পিএম

চুয়াডাঙ্গায় পরিবহন ধর্মঘটের সুযোগে অবৈধ যানের ছড়াছড়ি

চুয়াডাঙ্গায় পরিবহন ধর্মঘটের সুযোগে অবৈধ যানের ছড়াছড়ি

নতুন সড়ক আইন সংশোধনের দাবিতে চুয়াডাঙ্গায় চালকদের কর্মবিরতি চলছে। যার কারণে বাস চলছে না। আর এ সুযোগে স্থানীয় সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ নছিমন, করিমন, আলমসাধু ও ইজিবাইক। যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়াও আদায় করছে এসব যানবাহনের চালকরা।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকাল থেকে চুয়াডাঙ্গার অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার কোনো যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। 

দেখা গেছে, চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর, চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা ও চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কে সোমবার অবৈধ যানবাহন চলাচল করছে নির্বেঘ্নে। এসব যানবাহন থামাতে কিংবা তাদের ফিটনেস চেক করতে দেখা যাচ্ছে না সড়কে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। সুযোগ বুঝে চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে ইচ্ছোমত ভাড়া আদায় করছে।  যাত্রীরা অভিযোগ করেন, নিয়মিত যান চলাচল বন্ধ থাকার সুযোগে অবৈধ যান চালকরা দুই থেকে তিনগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। 

আন্দোলনরত চালকরা জানান, নতুন আইনে দুর্ঘটনার জন্য চালকদেরই দায় নিতে হবে। ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে। চালকরা কাউকে ইচ্ছা করে হত্যা করে না। তারপরও তাদের শাস্তি হবে। এ আইন মেনে নেয়া যায় না। যার প্রতিবাদে এ কর্মবিরতি।

অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, আমিসহ আমার পরিবারের সদস্যদের ভারতীয় ভিসা করার জন্য যশোর যাব। কিন্ত কোন গাড়ি না থাকায় আমকে বাড়ি ফেরত যেতে হচ্ছে। আমার কাছে যে ফরমটি আছে তার মেয়াদ ৫দিন অথচ আজ দু’দিন হয়ে গেল। জমা দিতে না পারলে আমার অনেক টাকা ক্ষতি হয়ে যাবে। 

চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস-ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এম. জেনারেল ইসলাম জানান, শ্রমিকরা কাউকে ইচ্ছা করে হত্যা করে না। অনিচ্ছাকৃত দুর্ঘটনার জন্য নতুন সড়ক আইনে তাদের ঘাতক বলা হচ্ছে। নতুন আইনের অনেক ধারার ব্যাপারে শ্রমিকদের আপত্তি রয়েছে, সেগুলো বিবেচনায় নিয়ে সংশোধন করতে হবে।

আরও জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় ৩০৪/খ ধারায় মামলা রুজু করা, মোটরযান ও চালকদের ওপর অধিক অর্থদণ্ড ও জেল-জরিমানা সংশোধনের দাবি জানান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিবহন মালিক জানান, শ্রমিকদের এ ধর্মঘটের সাথে আমরা শতভাগ একাত্মতা প্রকাশ করেছি। কেননা কোনো চালক ইচ্ছা করে দুর্ঘটনা ঘটায় না। দুর্ঘটনা ঘটলে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে। এতো জরিমানা দেয়ার মতো টাকা কোনো চালকের নেই। ৫-৭ দিন কাজ না থাকলে যে চালকদের ঘরে চুলা জ্বলে না। তাদের কাছে এত টাকা জরিমানা হাস্যকর।

একেএস
 

আরও পড়ুন