• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০১৯, ০৭:৫৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১৯, ২০১৯, ০৮:০১ পিএম

ভুল চিকিৎসা প্রসূতির মৃত্যু

দায়ী চিকিৎসকদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি

দায়ী চিকিৎসকদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের খ্রিস্টান মেমোরিয়াল হাসপাতালে ‘ভুল চিকিৎসায়’ সহকারী শিক্ষিকা নওশিন আহম্মেদ দিয়ার (২৯) মৃত্যুর ঘটনায় মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক-অভিভাবকরা।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন- সূর্যমুখী কিন্ডারগার্ডেনের অধ্যক্ষ সালমা বারী, ক্রিসেন্ট কিন্ডারগার্ডেনের অধ্যক্ষ মরিয়ম আক্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার চৌধুরী, জেলা খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জল সরকার, নিহত শিক্ষিকার পিতা শিহাব আহমেদ গেন্দু ও স্বামী সাইফুল ইসলাম তিলকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রসূতি নওশিনের মৃত্যুর অভিযাগ এনে তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পর মারা যাওয়ার ১০ দিন পরে ময়নাতদন্তের জন্য শুক্রবার জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে জেলা শহরের শেরপুর কবরস্থান থেকে নওশিনের মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করা হয়। কিন্তু মামলার পর আজও কোনো অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়নি। 

আমরা দোষী চিকিৎসকদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। নওশিন আহম্মেদ দিয়া শহরের ক্রিসেন্ট কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা ছিলেন। গত ৪ নভেম্বর শহরের খ্রিস্টান মেমোরিয়াল হাসপাতালের ‘ভুল চিকিৎসায়’ সে মারা যায়। এই অভিযোগে নওশিনের বাবা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মুন্সেফপাড়ার খ্রিস্টান মেমারিয়াল হাসপাতালের স্বত্ত্বাধিকারী ডা. ডিউক চৌধুরী ও তার ক্লিনিকের দুই চিকিৎসক অরুনেশ্বর পাল এবং মো. শাহাদাৎ হোসেন রাসেল। আসামিরা নওশিনের মৃত্যুর পর তার মুখে অক্সিজেন লাগিয়ে দ্রুত ঢাকার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন বলে অভিযাগ করা হয়। পরবর্তীতে ঢাকার হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা জানান দিয়া কয়েক ঘণ্টা আগেই মারা গেছেন।

টিএফ

আরও পড়ুন