• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০১৯, ০৩:১৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২০, ২০১৯, ০৩:২২ পিএম

নওগাঁয় লবণের দাম বেশি নেয়ায় দেড় লাখ টাকা জরিমানা

নওগাঁয় লবণের দাম বেশি নেয়ায় দেড় লাখ টাকা জরিমানা
নওগাঁয় লবণের গুজব ঠেকাতে জেলা ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে -ছবি : জাগরণ

পেঁয়াজের ঝাঁঝ কাটতে না কাটতে হঠাৎ করেই নওগাঁর বাজারগুলোতে লবনের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। লবন মজুদ রাখা ও বেশি দামে বিক্রি ঠেকাতে দু’দিন ব্যাপী অভিযান পরিচালনা করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানের প্রথমদিন মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ১১ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ২৭ বস্তা লবন উদ্ধারসহ বিভিন্ন দোকানির কাছ থেকে ১লাখ ৪৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও ১ জনকে ১৫ দিনের সাজা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি লবনের দাম বেশি রাখায় ২১টি মামলা করা হয়। 

গুজব ঠেকাতে জেলা ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে গুজবে কান না দিতে বাজারগুলোতে মাইকিং করা হয়েছে। এ অভিযান চলবে বুধবার বিকাল পর্যন্ত।  

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, জেলার মান্দা উপজেলার জাতবাজারে লবণের কেজি প্রকারভেদে ৫০-৭০ টাকা, সতিহাটে খোলা লবণ প্রতি কেজি ৩০-৫০ টাকা, চৌবাড়িয়া হাটে ৬০-৭০ টাকা, বদলগাছী উপজেলার পারসোমবাড়ী বাজরে প্রকারভেদে ৫০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে গতকাল মঙ্গলবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন বাজারে প্রশানর অভিযান পরিচালনা করায় লবনের বাজার ছিল স্থিতিশীল। তবে অধিকাংশ মুদি দোকানগুলোতে লবন পাওয়া যায়নি। দোকানিরা বলেছেন, গত কয়েকদিন থেকে পরিবহন না চলায় বাজারে লবনের কৃত্রিম সংকট তৈরী হয়েছে। আর এ সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় বেশি দামে লবন বিক্রি করেছেন।

মুদি দোকানী জেরিন স্টোরের মালিক জিয়াউর রহমান বলেন, হঠাৎ করেই দুপুর পর দোকানে লবণের ক্রেতাদের চাহিদা বেড়ে যায়। ঘন্টা চারেকের মধ্যে ১২০ টাকা কেজি লবন বিক্রি হয়ে যায়। প্রতিকেজি লবন মোটা ২০ টাকা এবং চিকন ৩০ টাকা কেজি। আগেও একই দামে বিক্রি করা হয়েছিল।

সদর উপজেলার মাদার মোল্লা গ্রামের আফসার উদ্দিন বলেন, লবনের দাম বেড়ে গেছে শুনে বিকেলে বাজারে কিনতে গিয়েছিলাম। দেখি প্রতিকেজি লবন ৪৫-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। যেহেতু শহরে কাজে আসছি তাজের মোড় থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি লবন কিনেছি।

নওগাঁয় লবণ ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় -ছবি : জাগরণ 

নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অব্দুল্লাহ মামুন বলেন, পলাশ র্কীত্তিপুর বাজারে কনফেকশনারী দোকানের একজন কর্মচারী। তার নিজস্ব কোন দোকান নাই। লবনের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার গুজবে বাজার দামে ৫ বস্তা লবন কিনেছিলেন। এক বস্তা দোকানে রেখে বিক্রি করেছেন এবং বাকি চার বস্তা বাড়িতে মজুদ রেখেছিলেন। গোপনে বিষয়টি জানার পর পলাশকে সঙ্গে নিয়ে তার বাড়ি থেকে চারবস্তা লবন উদ্ধার করা হয়। যেহেতু তিনি লবন ব্যবসায়ী না বা তার দোকানে কখনো লবন বিক্রি হয়নি। এ অপরাধে তাকে ১৫ দিনের সাজা প্রদান করা হয়েছে।

নওগাঁ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. কামরুজ্জামান বলেন, গুজবে কান না দিয়ে লবন, চাল অথবা অন্য যেকোন অত্যাবশ্যকীয় পণ্য অতিরিক্ত দামে বিক্রয় মজুত দাবি অথবা এ সংক্রান্ত গুজব সৃষ্টির খবর পাওয়া গেলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ০১৭১৭-৬০৯০৫৩ নম্বরে মোবাইল অবহিত করতে বলা হয়েছে।

একেএস
 

আরও পড়ুন