বরিশালের বানারীপাড়ায় যৌতুকের দাবিতে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় স্বামী মো. কাওসার হোসেনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

একই সাথে তাকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। জরিমানার এই টাকা নিহতের পরিবারকে দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ এই দণ্ডাদেশ দেন। এ সময় আসামি কাওসার হোসেন পলাতক ছিলেন। দণ্ডিত কাওসার বানারীপাড়া উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মৃত শহিদের ছেলে।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (স্পেশাল পিপি) ফয়েজুল হক ফয়েজ জানান, ২০০৯ সালে কাওসারের সাথে বিয়ে হয় বরিশালের উজিরপুর উপজেলার নারায়ণপুর এলাকার মাহমুদা আক্তার পাখির। বিয়ের পর থেকে কাওসার যৌতুকের দাবিতে পাখির ওপর বিভিন্নভাবে নির্যাতন করেন।

ঘটনার দিন ২০১১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মাহমুদা আক্তার পাখির ওপর নির্যাতন চালিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করেন স্বামী কাওসার।

এ ঘটনায় পাখির বোন ময়না বেগম বাদী হয়ে বানারীপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ৩০ এপ্রিল পাখির স্বামীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন বানারীপাড়া থানার এসআই রুস্তম আলী মৃধা। আদালত ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার এই রায় দেন।

এনআই