• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০১৯, ১২:৫০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২১, ২০১৯, ১২:৫০ পিএম

৪র্থ দিনেও খুলনা থেকে বাস ছাড়েনি

৪র্থ দিনেও খুলনা থেকে বাস ছাড়েনি

আমরা ধর্মঘট ডাকিনি। বাস শ্রমিকরা বাস চালাতে চায় না। তো কি করার আছে বলেন। তাছাড়া গত চারদিন ধরে শ্রমিকদের অঘোষিত ধর্মঘটের পরিপ্রেক্ষিতে বাস চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয়ভাবে আমাদেরকে বাস চালানোর কোন নির্দেশনা দেয়নি। খুলনা বিভাগীয় মোটর শ্রমিক ইউনিয়নরে সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন বিপ্লব বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে এ কথা বলেন। 

বৃহস্পতিবার সকালে খুলনা থেকে কোনো দূরপাল্লার বাস ও অভ্যন্তরীণ রুটে কোন বাস চলাচল করেনি। এর আগে সোমবার (১৮ নভেম্বর) নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে পরিবহন ধর্মঘট শুরু করে বাস শ্রমিকেরা।

মালিকরা বলছেন শ্রমিকরা বাস চালাতে চায় না। তো আমাদের কি করার আছে। আর শ্রমিকরা বলেন যে কয় টাকা শ্রমিকের কাজ করে পাই তা দিয়ে সংসার চলে না। তাতে সামান্য অপরাধে বিরাট অংকের জরিমানার টাকা জোগাবে কোত্থেকে। তাছাড়া দুর্ঘটনা তো বলে কয়ে আসে না। মানুষের মৃত্যুর কোর গ্যারান্টি নেই। সেখানে গাড়ি চাপায় কেউ মারা গেলে জেলে যেতে হবে। তাই কি দরকার গাড়ি চালানোর। 

গত সোমবার থেকে টানা চারদিনের পরিবহন ধর্মঘটে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ট্রেনের ওপর চাপ অনেক বেশি। যাত্রী সংখ্যাও স্বাভাবিকের চেয়েও বেশি। তবে সিট না পেয়ে অনেকে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন ট্রেনে। দাঁড়ানোর স্থান পেতেও হুড়োহুড়ি লেগে যাচ্ছে।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। বাস চলাচল না করায় আগেভাগে অনেকেই ট্রেনে করে যশোর চলে গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে রেলস্টেশনে বিপুল সংখ্যক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট নিতে দেখা গেছে। অনেকে টিকিট নিতে না পেরে ট্রেনে উঠে পড়ে। তাদের বক্তব্য টিটি আসলে তার কাছ থেকেই টাকা দিয়ে বিকল্প টিকিট নিয়ে নেব। 

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দেখা যায় সোনাডাঙ্গা আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল, রয়্যাল মোড় ও শিববাড়ির মোড়, ফেরিঘাট মোড় এলাকা থেকে কোথাও বাস ছেড়ে যায়নি। অধিকাংশ বাস কাউন্টার বন্ধ রয়েছে। এদিকে বুধবার বিকেল থেকে নগরীর নতুন রাস্তা মোড়, জিরোপয়েন্ট, ফুলবাড়িগেট, দৌলতপুরসহ বেশ কয়েকটি স্থানে লাঠি হাতে যুবকেরা বিভিন্ন যানবাহন ভাঙচুর করেছে। 

খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন বিপ্লব আরও বলেন, খুলনায় এখনো বাস চলাচল শুরু হয়নি। বুধবার (২০ নভেম্বর) দিনগত রাতে মালিক ও শ্রমিক নেতারা ঢাকায় গেছেন। মন্ত্রণালয়ে ট্রাক মালিক শ্রমিকদের সঙ্গে সভা হয়েছে। সেখান থেকে কোন সিদ্ধান্ত আমাদের জানানো হয়নি। 

কেএসটি

আরও পড়ুন