• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০১৯, ০৩:৫১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২১, ২০১৯, ০৩:৫১ পিএম

মাদক দেশ ও সমাজকে ধ্বংস করে : নওগাঁয় খাদ্যমন্ত্রী

মাদক দেশ ও সমাজকে ধ্বংস করে : নওগাঁয় খাদ্যমন্ত্রী
নওগাঁয় বিজিবি ক্যাম্পে মাদকদ্রব্য ধ্বংসের উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার  -  ছবি : জাগরণ

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন, যারা মাদক গ্রহণ করে তারা আমাদের শত্রু। মাদক শুধু সমাজ নয়, দেশকেও ধ্বংস করে। মাদকের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্সে আছে। দুর্নীতিবাজ ও জঙ্গিবাদ সমাজের শত্রু। আমরা মাদক খাব না বা খেতে দেব না। কেউ মাদক গ্রহণ বা ব্যবসার সাথে জড়িত থাকলে বিজিবিকে জানাব।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি-১৬) মাদকদ্রব্য ধ্বংস ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন নয়, মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করার ইচ্ছাশক্তিও থাকতে হবে। নওগাঁ সীমান্তে ভারতের ৫টি চৌকি আছে। আমাদের বিজিবির সদস্যদের অন্ধকারে জঙ্গল ও পানির ভেতর দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। সীমান্তে বিজিবির যাতায়াতের সুবিধা ও আলোকিত করতে সোলার সিস্টেমের ব্যবস্থার জন্য প্রজেক্ট পাঠানো হয়েছে, যাতে সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান কমে যায়।

অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, যারা মাদক ব্যবসায়ী তারা মাদক ছেড়ে দিন। নিজের বাড়িটা সামলান। সন্তানরা মাদকের সাথে যুক্ত হচ্ছে কি না তা খেয়াল রাখুন। শিক্ষার্থীরা দেশের ভবিষ্যৎ। একদিন তোমাদেরই দায়িত্ব নিতে হবে। তাই এখন থেকেই মাদককে ‘না’।

নওগাঁ ১৬-বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল একেএম আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য দেন রাজশাহী সদর দফতর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বিপিএম, ১৪-বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল জাহিদ হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ফারজানা হোসেন, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপপরিচালক একেএম বেদারুল ইসলাম, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সোহরাওয়ার্দী হোসেন, সীমান্ত পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রসুল সাকলায়েনসহ অন্যরা। এ সময় জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও বিজিবির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গত তিন বছরে সীমান্তে বিভিন্ন সময়ে উদ্ধারকৃত মাদকের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার মদ ৮০১ বোতল, ফেনসিডিল ১৫ হাজার ৬৪১ বোতল, গাঁজা ২৫ কেজি, ইয়াবা ১৫৫ পিস, হেরোইন ২৫ গ্রাম, টাপেন্টা ১৫ পিস, ভারতীয় নেশাজাতীয় ইনজেকশন ৩৪৪ পিস, বাংলাদেশ নেশাজাতীয় বোতল ৪৭ পিস, চোলাই মদ ১৪৬ লিটার, কীটনাশক ১ বোতল ধ্বংস করা হয়, যার সিজার মূল্য ৭৭ লাখ ৪৬ হাজার ৮৫৫ টাকা। সকালে মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ উপলক্ষে সচেতনতামূলক একটি শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

এনআই

আরও পড়ুন