• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০১৯, ০৪:৫১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২১, ২০১৯, ০৪:৫১ পিএম

তেঁতুলিয়ায় মাথাবিহীন লাশের রহস্য উদ্‌ঘাটন

তেঁতুলিয়ায় মাথাবিহীন লাশের রহস্য উদ্‌ঘাটন
প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী  -  ছবি : জাগরণ

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মাথাবিহীন লাশের রহস্য উদ্‌ঘাটন করেছে ডিবি পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী এ তথ্য জানান।

তেঁতুলিয়া থানার পুলিশ গত ১৮ অক্টোবর সকালে শালবাহান ইউনিয়নের ব্রহ্মতল গ্রামের ঝিকদহ ব্রিজের কাছ থেকে মাথাবিহীন অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার ও মামলা করে। ২২ অক্টোবর আজিজনগর গ্রামের হাইওয়ের পাশে একটি চা-বাগান থেকে মৃতদেহের মাথা উদ্ধার করা হয়।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, প্রযুক্তি ব্যবহার করে লাশ উদ্ধারের দিনই পুলিশ জানতে পারে, মৃতদেহটি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আব্দুর রবের (৪৮)। তিনি তেঁতুলিয়ায় মরিচ ও বাদাম ক্রয় করতে আসতেন। তীরইহাট ইউনিয়নের যুগীগছ গ্রামের মো. মানিকের (৪৮) সাথে ব্যবসা এবং তার বাড়িতে রাত যাপন করতেন।

লাশের গায়ের পেঁচানো চাদর ও প্রযুক্তিগত তথ্যের সূত্র ধরে আসামি মানিকের স্ত্রী আফরোজা বেগমকে (৪৫) ২৭ অক্টোবর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। পরদিন তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। গত ১৯ নভেম্বর মামলার মূল আসামি মানিক ও তার ছেলে আমান আলীকে (২১) নীলফামারীর ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন পিতা-পুত্র দুজনই আব্দুর রবকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এ ঘটনার জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার যুগীগছ গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে মো. রুবেল (৩২) ও আব্দুল বারেক (৫০) জেলহাজতে আছে।

পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাঈমুল হাছান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুদর্শন কুমার রায় ও ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ সুপার আসামি মানিককে জিজ্ঞাসাবাদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, ব্যবসায়িক লেনদেন এবং স্ত্রীর প্রতি কুনজর দেয়ার কারণে আব্দুর রবকে হত্যা করা হয়। মানিকের বাড়িতে হত্যাকাণ্ডের আগের দিন (১৭ অক্টোবর) রাতে গল্পগুজবের পর তারা একই ঘরে একই বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েন। রাত একটার দিকে মানিক ঘুমন্ত আব্দুর রবের বুক ও পেটের মাঝখানে ছুরি বসিয়ে দেন। এতে তিনি জেগে উঠলে ছুরিটি তার গলায় বসিয়ে দেয়া হয় এবং গলা কেটে মাথা আলাদা করে ফেলা হয়। এরপর স্ত্রী ও সন্তানকে ডেকে তোলেন মানিক। পরে ছেলেকে নিয়ে মোটরসাইকেলে লাশ এবং খণ্ডিত মাথাটি একটি ব্যাগে নিয়ে যান। তারা প্রথমে মাথাবিহীন লাশ ও পরে খণ্ডিত মাথাটি ফেলে দেন।

এনআই

আরও পড়ুন